যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে মডেল ও অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবাহর দায়ের করা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন তরুণ প্রজন্মের গায়ক ইলিয়াস হোসাইন।
বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই সুবহা ও ইলিয়াসের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য, আত্মপক্ষ শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ দিন ধার্য করেন। তবে এরই মধ্যে ইলিয়াসের সঙ্গে আপোষ- মীমাংসা হয়েছে জানিয়ে মামলা না চালানোর কথা আদালতকে জানান সুবহা। এর পর বিচারক আসামি ও বাদীর উপস্থিতিতে মামলা প্রত্যাহারের বিষয় শুনানির জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করেন।
গত ১৯ জুন একই আদালত ইলিয়াসকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। সোমবার আত্মপক্ষ করে জামিন নেন ইলিয়াস। এর আগে গত ২২ মার্চ ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই ট্রাইব্যুনাল।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে বনানী থানায় মামলাটি করেন সুবাহ। মামলাটি তদন্ত করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইলিয়াসকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিএমপির তেজগাঁও নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর মাছুমা আফ্রাদ।মামলায় সাক্ষী করা হয় ১১ জনকে। এর পর গত ১৯ মে আদালত অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেন। গত ১৯ জুন আদালত আসামি ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
অভিনেত্রী সুবাহ গণমাধ্যমকে বলেন, “যে সংসার করবে না, তার সঙ্গে জোর করে সংসার করা যায় না। আমাদের পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা হয়েছে। এখন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। সে তার জীবনে ভালো থাকুক। আমি আমার জীবন নিয়ে ভালো থাকতে চাই।”
গায়ক ইলিয়াসও গণমাধ্যমকে বলেন, “সুবাহ আমার কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেছিল। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে পারিবারিকভাবে মীমাংসা হয়ে গেছে।”