তিন দশক পর ফের সুরের ভুবনে সেই ব্যান্ডশিল্পী মনসুর

বিনোদন ডেস্ক

জুন ৪, ২০২২, ০৫:১৪ পিএম

তিন দশক পর ফের সুরের ভুবনে সেই ব্যান্ডশিল্পী মনসুর

এক সময়ে ছিলেন চট্টগ্রামের জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী। পথ হারিয়ে বর্তমানে একটি পাববলিক টয়লেটের তত্ত্বাবধায়ক। তবে তার জীবনের করুণ গল্প বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাদের উৎসাহে আবারও সুরের ভবনে প্রবেশ করতে চলেছেন এক সময়ের জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী মনসুর।

প্রায় তিন দশক। অনেকটা লম্বা সময় পার করে আবারও হাতে ধরলেন মাইক্রোফোন।এতদিনে পাল্টেছে অনেক কিছুই, পরিবর্তন এসেছে দেহ মনে কিন্তু মনসুর হাসানের কণ্ঠে ঠিক আগের মতোই মাদকতা। তার কণ্ঠে এখন আবার সেই গান, যা সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে নতুন আলো।

১৯৮৬ সালে চট্টগ্রামের মহসিন কলেজে এইচএসসি ২য় বর্ষে পড়ার সময় বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘ব্লু হরনেট’ ব্যান্ড।  এই ব্যান্ডের অনেক গান জনপ্রিয় হয়।

কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে ব্যান্ড নিয়ে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন মনসুরের বন্ধুরা। মনসুর তখন গান গাইতেন। গানের কথাও লিখতেন। নব্বইয়ের শুরুতেই তাঁরা বের করলেন প্রথম অ্যালবাম। অ্যালবামের ১৪টি গানের মধ্যে মনসুরেরই ছিল ৩টি।‘বাটালি হিলের সেই বিকেল’, ‘ছোট্ট একটি মেয়ে’, ‘সারাটি রাত’। গানগুলো জনপ্রিয়তা পায়।

কিন্ত এরপর মাদক আর রাজনীতিতে জড়িয়ে কারাবরণসহ নানা কারণে পথ হারান ভোকাল মনসুর। ত্রিশ বছর পর গানের ভুবনে প্রবেশ করে মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, “এতদিন পর গান গাইতে এসে দেখলাম, গলায় জং ধরে গেছে। হয়তো বেশকিছুদিন অনুশীলন করলে আবার গান গাওয়া যেতে পারে।” 

বেসরকারি যমুনা টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৪ বছর বয়সী এই শিল্পী এখনও থাকেন ফুটপাতের বেঞ্চে। মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। কথা জড়িয়ে যায় কিন্তু সুর সেই আগের মতোই। সহশিল্পীরা বলছেন, আশ্চর্যের বিষয়, বয়সের ছাপ কিছুটা পড়েছে মনসুরের কণ্ঠে, তবে সুর-তাল-লয় সেই আগের মতোই।

তবে এই ফুটপাতের বেঞ্চে থাকতে তার কী ভাল লাগে? তাইতো তা্র কণ্ঠে শোনা গেল তার মনের অব্যক্ত কথা। গাইলেনৈ,  ‘নতুন ঘরে যাব আমার এই ঘরে আর মন বসেনা/ ঘরখানা অতি পুরানা/ এই না অপয়া ঘরে/ দুঃখ আমার গেল নারে…।’ গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর চট্টেশ্বরী মোড়ের কে এস ডিজিটাল স্টুডিওতে তিনি বেশ কিছু গান গেয়েছেন। তাঁর মধ্যে ওই গান ছিল উল্লেখযোগ্য। 

Link copied!