‘সাদা সাদা কালা কালা’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশ হওয়ার পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গানটি এখন রীতিমতো ভাইরাল। অসাধারণ সুর সাথে নৌকার সব কাঠ, বাস, হাঁড়ি, পাতিল বাজিয়ে তাল তুলে গানটিকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
সম্প্রতি মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত 'হাওয়া' চলচ্চিত্রে গাওয়া এই গানটি ভাইরাল হলেও গানটির গীতিকার ও সুরকারের রয়েছে আলাদা গল্প।
'তোমায় আমি পাইতে পারি বাজি' গানটির গীতিকার ও সুরকার শিম মাহমুদ। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ
‘তোমায় আমি পাইতে পারি বাজি’ বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গানটি ভাইরাল হয়। মানুষও দেদারসে শেয়ার করছিলেন গানটি। ভিডিওতে দেখা যায় উস্কোখুস্কো ও এলোমেলো দাড়িওয়ালা একজন বৃদ্ধ লোক গানটি গাইছিলেন। কোনো বাদ্যযন্ত্রের তালে নয়। একেবারে খালি গলায় গাইছিলেন। বৃদ্ধের পরিচয় কেউ জানতেন তখন। অনেকে তার নামও শুনেননি।
ভবঘুরে এই শিল্পীর নাম হাশিম মাহমুদ। 'তোমায় আমি পাইতে পারি বাজি' গানটির গীতিকার ও সুরকার তিনিই।‘সাদা সাদা কালা কালা’গানটিও তার গাওয়া। তবে তিনি এখন আর গানটি গাইতে পারেন না। হাশিম এখন স্বাভাবিক জীবন যাপনে নেই। সিজোফ্রেনিয়া নামক এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। ফলে আগের সেই হাশিম আর নেই।
পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গানটি নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী ছিলেন হাশিম মাহমুদ। তার সঙ্গে দীর্ঘদিনের আড্ডার সম্পর্ক সুমনের। রয়েছে অনেক মধুর স্মৃতিও।
শুধু সুমন কেন, চারুকলা অনুষদের যত শিক্ষার্থী, সবার কাছে পরিচিত হাশিম মাহমুদ। তবে হাশিম সবার থেকে আলাদা দূরে সরে যান। অনেকটা যোগাযোগের বাইরে। কিন্তু হাওয়াতে যে হাশিমের গানটিই লাগবে। তাই টানা চার মাস খোঁজে হাশিম মাহমুদকে বের করা হয়। এরপর 'সাদা সাদা কালা কালা' গানটির অনুমতি নেওয়া হয়।
গানটা হাশিম গাইতে না পারায় গেয়েছেন এরফান মৃধা শিবলু নামে এক শিল্পী। গানটি কম্পোজ করেছেন ইমন চৌধুরী। বাজনায় ছিলেন মিঠুন চাকমা।