সাত দশক ধরে গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৪২ থেকে শুরু করে যেসব গান গেয়েছিলেন এখনো শোনা যায় মানুষের মুখে মুখে। এ প্রজন্মের তরুণরাও মুগ্ধ হয়ে শোনে তাঁর সুরের ছন্দ। তিনি সঙ্গীতকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বের দরবারে। বলছি ভারতীয় কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের কথা। এই শিল্পীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মধ্য মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী।
১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। মারাঠি গানের মাধ্যমে ১৯৪২ সালে গানের পথে যাত্রা শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে বসন্ত জোগলেকরের ‘আপ কি সেবা মে’ ছবিতে তিনি ‘পা লাগু কার জোড়ি’ গানটির মাধ্যমে হিন্দি সিনেমায় গান গাওয়া শুরু হয় তাঁর। এর দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দার তাঁকে প্রথম বড় সুযোগ দেন।
‘মজবুর’ ছবির জন্য গাওয়া ‘দিল মেরা তোরা’ গানের পর লতাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ৩৬টি ভাষায় প্রায় ৩০ হাজার গান গেয়েছেন লতা। এখনো বাঙালির মুখে মুখে ফেলে লতার গাওয়া বিখ্যাত বাংলা গানগুলো- ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’, ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’, ‘ও মোর ময়না গো’, ‘ও পলাশ ও শিমুল’, ‘আকাশপ্রদীপ জ্বেলে’।
২০০১ সালে লতা মঙ্গেশকর ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন অর্জন করেন। এছাড়া ১৯৮৯ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন।