ভারতের রঞ্জি ট্রফি খেলার জন্য মুম্বাই দলের হয়ে খেলার জন্য ডাক পেয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম দুটো ম্যাচের জন্য যে দল বাছাই হয়েছে, তাতে অর্জুনের নাম রাখা হয়েছে। মুম্বাই দলের অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন পৃথ্বী শ।
গত মওসুমে মুম্বাইকে বিজয় হাজারে ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ক্যাপ্টেন পৃথ্বী। ২০ জন সদস্যের দল বেছে নিয়েছে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশন।
মুম্বাইয়ের রঞ্জি দলে ডাক পাওয়ার পর সচিনপুত্র বলেন, “মর্যাদাপূর্ণ রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বাইয়ের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হওয়াটা সম্মানের। এটা আমার জন্য একটি স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো। আমি দলের জন্য আমার সেরাটা দেওয়ার দিতে চাই। এবং সেটার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
মুম্বাইয়ের মুখ্য নির্বাচন সলিল আঙ্কোলা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “আমি অর্জুনের উপর এই একমাত্র ফোকাসটা কেন বুঝতে পারছি না, কারণ সে টেন্ডুলকারের ছেলে বলে। আমাদের ফোকাস ছিল, দলকে নতুন চেহারা দেওয়ার জন্য তরুণদের বাছাই করা। ও প্রতিভাবান এবং ভালো পারফর্ম করছে, কয়েক বছর আগে মুম্বাই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ভালো করেছে। ও গতকাল (অনূর্ধ্ব-২৫ শালিনী ভালেকার ট্রফিতে) ৬০ বলে ৮৫ রান করেছিলেন এবং এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় টুর্নামেন্টে চার উইকেট নিয়েছিল। এই নির্বাচনটা সবার সম্মতি নিয়ে হয়েছিল এবং অধিনায়কও (পৃথ্বী শ)সভায় উপস্থিত ছিলেন। তুষার সেখানে না থাকায় আমাদের কয়েকটি বিকল্পের প্রয়োজন ছিল।”
শচীন তেন্ডুলকারের মতো আপাদমস্তক ব্যাটসম্যান নন অর্জুন। তিনি বাঁহাতি পেসার, সঙ্গে ব্যাটিংও পারেন। একজন অলরাউন্ডার হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হওয়াই স্বপ্ন তার। এ বছরের শুরুতে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস দলে ২০ লাখ রুপিতে সুযোগ পেয়েছিলেন অর্জুন। তবে একটি ম্যাচও খেলেননি। এরপর চোটের কারণে ছিটকে যান।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের রঞ্জি ট্রফি দলে সুযোগ পেয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ৩৩ বছর পর একই দলে সুযোগ হলো শচীন–পুত্র অর্জুন টেন্ডুলকারের।তাই ২২ বছর বয়সী অর্জুন আনন্দে ভাসছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের জায়গা করে নিতে পেরে।
মুম্বাইয়ের রঞ্জি ট্রফির স্কোয়াড:
পৃথ্বী শ (অধিনায়ক), যশস্বী জসওয়াল, আকর্ষিত গোমেল, আরমান জাফর, সরফরাজ খান, শচীন যাদব, আদিত্য তারে (উইকেটকিপার), হার্দিক তামোরে (উইকেটকিপার), অর্জুন টেন্ডুলকার, শিবম দুবে, আমন খান, শামস মুলানি, তনুশ কোটিয়ান, প্রশান্ত সোলাঙ্কি, শশাঙ্ক আতারদে, ধবল কুলকার্নি, মোহিত আওয়স্তি, প্রিন্স বাদিয়ানি, সিদ্ধার্থ রাউৎ, রয়স্টান দিয়াজ।