ইউরোপে ফের বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ৫, ২০২১, ১১:২৭ পিএম

ইউরোপে ফের বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ

আবারো করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ইউরোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মহাদেশটিতে করোনার প্রকোপ আবারও বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রধান হ্যান্স ক্লুজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইউরোপে আরও ৫ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে কোভিডে। এর জন্য তিনি অপর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের বিষয়টিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘কৌশলগত কিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন যেন করোনায় সংক্রমণের হার আবারও শূন্যের কোটায় চলে যায়’।

বিগত কয়েকমাস ধরে ইউরোপে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের হার কমে যাচ্ছে। স্পেনে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারী ৮০% সেখানে জার্মানিতে ৬৮%-৬৬%। এছাড়াও মধ্য এবং পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে টিকা গ্রহনকারীদের সংখ্যা অনেক কম। ২০২১ সালের অক্টোবরে সম্পূর্ন ভ্যাকসিন গ্রহণকারী রাশিয়ানের সংখ্যা মাত্র ৩২%।

ক্লুজ ফের করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য ইউরোপীয় অঞ্চলের জনসাধারণের শৈথিল্যকে দায়ী করেছেন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে ৩৪,০০০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। একই সময়ে যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭,০০০।

জার্মানির আরকেআই ইন্সটিটিউটের লোথার উইলার বলেন, ‘এখনই ব্যবস্থা না নিলে তাহলে চতুর্থ ঢেউ আমাদের জন্য আরও দুর্ভোগ নিয়ে আসবে’। জার্মানিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত যারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেনি তাদের মধ্যে ৬০ বছর বয়সীদের সংখ্যা ৩ মিলিয়নের চেয়ে বেশি এবং বর্তমানে তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

তবে হ্যান্স ক্লুজ উল্লেখ করেছেন, কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি শুধুমাত্র জার্মানিতে সীমাবদ্ধ নয়। গতসপ্তাহে নাটকীয় ভাবে করোনায় মৃত্যু সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে রাশিয়ায়। ৮১০০ জন মারা গেছে রাশিয়ায় এবং ইউক্রেনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮০০ জন। উভয় দেশেই ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর হার খুবই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৭,৩৭৭ জনের মধ্যে।

রোমানিয়াতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫৯১। এদিকে হাঙ্গেরিতে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ৬২৬৮ হয়েছে। এদিকে ডাঃ রায়ান বলেছেন, ‘এই মুহুর্তে আমরা নরকের নিচে দিয়ে যাচ্ছি। কিছু মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেই এই মহামারি শেষ হয়ে যাবে বিষয়টি এমন নয়’।

এদিকে ডাচ সরকার বলেছেন, এখন থেকে সকল স্থানে মাস্ক পড়া এবং সামাজিক দুরতও বজায় রাখার বিষয়টি সক্রিয় করতে হবে। কেননা গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে ৩১% হয়েছে।

Link copied!