করোনা মহামারি প্রাদূর্ভাবের পর থেকে এর টিকার ব্যবসা করে নতুন করে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৯জন।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) জি -২০ নেতাদের অংশ নেওয়া গ্লোবাল হেলথ সামিটের আগে ‘পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স’ এ চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এই ফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশনগুলো ভ্যাকসিন প্রযুক্তিতে একছত্র আধিপত্য তৈরি করে রেখেছে।
পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই ভ্যাকসিন ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৯ নতুন বিলিওনিয়ার সব মিলিয়ে ১৯.৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এই অর্থে স্বল্প আয়ের দেশগুলোর সব নাগরিককে পুরোপুরি টিকাকরনের আওতায় নেওয়া সম্ভব।’
এই অ্যালায়েন্সটি হলো বেশ কিছু সংগঠনের সমষ্টি, যারা টিকার পেটেন্ট অধিকারের বিরোাধীতা করে আসছে। এই অ্যালায়েন্সের অংশ চ্যারেটি ‘অক্সফামে’র অ্যানা ম্যারিয়ট বলেন, ‘মনোপলির কারণেই এই বিলিয়নিয়াররা বিপুল মুনাফা করছেন।’
পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এর মতে, এই টিকাগুলোতে পেটেন্ট না জারি করলে স্থানীয় নির্মাতারা টিকা উৎপাদনের সুযোগ পাবে।
চলতি মাসের শুরুতে, ভারতের পক্ষ থেকে করা ‘করোনা টিকার জন্য ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি উন্মুক্ত করা’র প্রস্তাবকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায়(ডব্লিউটিও) সমর্থন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ডব্লিউটিওর সংজ্ঞামতে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস বলতে, উৎপাদককে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার সৃষ্টির ব্যবহারের উপর একচেটিয়া অধিকার দেযয়াকে বোঝায়।
ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটসে ছাড় দেওয়া হলে বিভিন্ন দেশের আরও অধিক উৎপাদক ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে। তাতে বিভিন্ন দেশে হওয়া ভ্যাকসিনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।
এই ৯ জনের বাইরে এই খাতে আগে থেকে থাকা ৮ বিলিয়নিয়ারের মোট সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.২ বিলিয়ন ডলার। নতুন ভ্যাকসিন বিলিয়নিয়ারদের শীর্ষে আছেন মডার্নার সিইও স্টিফেন বানকেল। এরপরেই আছেন বায়োএনটেকের উগুর শাহিন। এছাড়াও আছেন চীনের কানসিনো বায়োলজিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতারা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া,রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড ডটকম।