এপ্রিল ২৪, ২০২১, ০৭:১৭ পিএম
সম্প্রতি প্রতিবেশী ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা প্রতিরোধে দেশটির সঙ্গে সব স্থলসীমান্ত যোগাযোগ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দলের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভারতে সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ডাবল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে ট্রিপল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্ট বা ভি-১, সিক্স-১ এর আবির্ভাব মারাত্মক একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আমি ভারতের এই বিষয়টি এজন্য উল্লেখ করছি যে, ভারতের সঙ্গে আমাদের দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং প্রচুর পরিমাণ নাগরিকদের যাতায়াত আছে। বিশেষ করে মেডিক্যাল ভিসা বা অন্যান্য কাজে। আমরা দেখছি যে, পশ্চিমবাংলায় সংক্রমণটি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সেজন্য আমরা মনে করি যে, ভারতের সঙ্গে স্থলপথে যে সীমান্ত আছে, এই সীমান্তগুলো একেবারেই বন্ধ করা দরকার।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইতোমধ্যে আপনারা লক্ষ্য করেছেন, বলা হচ্ছে—বাইরে থেকে যারা আসবেন বিমানপথে, তাদের মাত্র তিনদিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে। যেটা আমি বিশ্বের কোথাও শুনিনি। এই সিদ্ধান্তগুলো আজকে আমাদের পরিস্থিতিকে ভয়ঙ্করভাবে নাজুক করে ফেলেছে। লকডাউনের পরে একটা সপ্তাহ সবাই বাইরে চলে গেলো, এখন আবার বলা হচ্ছে যে, আগামী রোববার থেকে শপিংমল-দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। আজকের পত্রিকায় এসেছে, যারা এসব দোকানপাটে কাজ করছেন, ছোট ছোট দোকান যারা করেন তারা সবাই বাইরে চলে গিয়েছিলো, তারা আবার ফিরতে শুরু করেছেন। আসবে স্বাভাবিকভাবেই, আবার ঈদের আগে তারা আবার গ্রামে ফিরে যাবেন। ফলে কী হবে? সারা দেশেই করোনাভাইরাসের সংক্রামণ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ভেরিয়েন্ট এসেছে তা ভয়াবহভাবে দেশে ছড়িয়েছে। এমন একটা পরিবার নেই যেখানে এই সংক্রমণ যায়নি। এমনকি শিশু পর্যন্ত এবার বাদ পড়ছে না। আমরা এ বিষয়ে আগেও বলেছি। এখনো আমরা সরকারকে বলতে চাই যে, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার এবং একটা পরিকল্পিত, সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন। এত লেজেগোবরে করে ফেলেছে যে কোনটাই সামাল দিতে পারছে না।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা পুরো জাতি আজ এক মহাসংকটের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করছি। এ মুহূর্তে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের এ দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। অন্যথায় এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।’