সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত অন্তত এক লাখ ৮০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে জানোনো হয়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এত বেশি সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেছেন বৈশ্বিক টিকাদান কর্মসূচির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। টিকা বৈষম্যের কঠোর সমালোচনাও করেন তিনি।
সারাবিশ্বে অন্তত ১৩ কোটি ৫০ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, পরিসংখ্যানের তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যাচ্ছে যে, ১১৯টি দেশের মধ্যে গড়ে পাঁচজনের মধ্যে দুইজন করোনা টিকার পুরোপুরি ডোজ সম্পন্ন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, অবশ্যই এটি বিস্তর পার্থক্য আঞ্চলিক এবং ধনী দেশগুলোর তুলনায়। তিনি তুলনা করে বলেন, আফ্রিকায় ১০ জনে একজন পুরোপুরি টিকা নিয়েছেন যা অন্য আটটি ধনী দেশের তুলনায় অনেক কম।
এর আগে, ডব্লিউএইচওর আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা ড. ব্রুস এইলওয়ার্ড বলেন, টিকা বণ্টনে সমতা না আসায় মহামারি আরও একবছর স্থায়ী হতে পারে।
ড. ব্রুস এইলওয়ার্ড বলেছেন, টিকার দুষ্প্রাপ্যতার কারণে করোনা সংকট ২০২২ সালেও অনেক দিন ধরে চলতে পারে।
জানা গেছে, আফ্রিকায় জনগোষ্ঠীর পাঁচ শতাংশেরও কম টিকা পেয়েছে, যেখানে বেশিরভাগ দেশে প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়ে গেছে।
করোনার যা টিকা উৎপাদন করা হয়েছে, তার বিপুল সংখ্যক ডোজই ব্যবহার করেছে উচ্চ আয়ের এবং মধ্যম আয়ের উপরের দিকে থাকা দেশগুলো। বিশ্বে এ পর্যন্ত যত ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে, আফ্রিকা পেয়েছে তার মাত্র দুই দশমিক ছয় শতাংশ।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা।