মহামারীর করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশে চলমান টিকাদান কর্যক্রম এগিয়ে নিতে ৫০ কোটি ডলার সমমূল্যের ৪ হাজার ২৪ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাংকের নির্বাহী পর্ষদ। শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এটি নিরাপদ ও কার্যকরী টিকা কেনা, সংরক্ষণ ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং বিতরণে সরকারকে সহায়তা করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) এই অর্থায়ন করবে। এ ঋণের আওতায় দেশের ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য অগ্রাধিকার পাবে।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, ‘কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস প্রজেক্ট’-এর অধীনে বিশ্ব ব্যাংকের অতিরিক্ত এই অর্থায়ন, প্রথম পর্যায়ে দেশের ৪০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেওয়ার সরকারের প্রাথমিক অগ্রাধিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন বলেন, এই অর্থায়ন জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
বিশ্ব ব্যাংক জানায়, এ প্রকল্পের অধীনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ চিহ্নিত করা, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।
টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ এবং টিকা পরীক্ষায় ওষুধ প্রশাসন পরিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা দেবে এই প্রকল্প।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্লোবাল আ্যাকসেস ফ্যাসিলিটির (কোভ্যাক্স)- আওতায় দেশের ২০ শতাংশ নাগরিকের জন্য যে টিকা বাংলাদেশ পাবে, তার ব্যয় বহন করা হবে বিশ্ব ব্যাংকের এই ঋণের অর্থ থেকে।
এছাড়া আরও ১১ শতাংশ নাগরিকের জন্য টিকা উৎপাদকের কাছ থেকে সরাসরি কেনা বা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া টিকা ও টিকাদানের খরচও বহন করা হবে। এর বাইরে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বাকি ৯ শতাংশ নাগরিকের টিকার খরচ যোগাবে।আইডিএ-র এই ঋণ শোধ করতে ৩০ বছর সময় পাবে বাংলাদেশ।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকার জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ধাপে বিশ্ব ব্যাংক যে তিনটি দেশের জন্য ঋণ অনুমোদন করেছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। অন্য দুটি দেশ হচ্ছে নেপাল ও আফগানিস্তান।