লকডাউনে মুভমেন্ট পাসের জন্য মিনিটে ১৫ হাজার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১৩, ২০২১, ১০:৪০ পিএম

লকডাউনে মুভমেন্ট পাসের জন্য মিনিটে ১৫ হাজার আবেদন

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামীকাল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আটদিনের লকডাউন (বিধিনিষেধ) ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই সময়ে নিত্যপ্রয়াজনীয় পণ্য সরবরাহ ও জরুরি সেবা ছাড়া অন্যান্য সবধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতের জন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ নামে বিশেষ অ্যাপ সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে অ্যাপটি উদ্বোধনের পর প্রথম ঘণ্টায় আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ২৫  হাজার। প্রতি মিনিটে ১৫ হাজার আবেদন জমা পড়ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ শাখার এআইজি মো. সোহেল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তিকে দিনে তিনটার বেশি মুভমেন্ট পাস দেওয়া হবে না। সপ্তাহে প্রতি জনকে সর্বোচ্চ ১৫টি মুভমেন্ট পাস দেওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।’

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। সেসময় তিনি বলেন, করোনার বিস্তার রোধে আগামীকাল বুধবার থেকে ৭ দিনের বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সারা দেশে শুরু হওয়া লকডাউনে কাউকে রাস্তায় দেখতে চাই না।’

আইজিপি বলেন, লকডাউন চলাকালে অবশ্যই আমাদের অপ্রয়োজনীয় মুভমেন্ট পরিহার করতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত যাতায়াত চলমান থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তি পরিবার ও সমাজকে আক্রান্ত করবেন। যা অত্যন্ত অনৈতিক কাজ।  গ্রামবাসী ও এলাকাবাসীকে অনুরোধ করবো শহর থেকে গ্রামে যাওয়া ব্যক্তি যাতে ৭ দিন আইসোলেশনে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। আগামী ৭ দিন নাগরিকরা ঘরে থাকবেন। যদি বিশেষ প্রয়োজনে বাহিরে যাওয়ার দরকার হয় তাহলে ওই অ্যাপ থেকে ‘পাস’ নিতে হবে।

বেনজীর আহমেদ বলেন, কেউ রাস্তায় জটলা পাকাবেন না, হাতিরঝিলে বা অন্য কোথায় গিয়ে তরুণ-তরুণীদের আড্ডা না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বাজার, করোনার টিকার তারিখ থাকলে কিংবা অতিপ্রয়োজনীয় কাজ থাকলে বের হওয়া যাবে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী চলাচলের প্রয়োজন হলেও মুভমেন্ট পাস লাগবে।

তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে গেলে মুভমেন্ট পাস লাগবে। এছাড়া একটি মোবাইল নম্বর ও একটি গাড়ির নম্বর দিয়ে একাধিক পাস নেওয়া যাবে না। আশা করছি, এমন মহামারির সময়ে কেউ মিথ্য বলে পাস নেবেন না।

দেশের যে কোনো নাগরিক ওই অ্যাপের মাধ্যমে কয়েকটি তথ্য সরবরাহ করে খুব সহজেই এ ‘পাস’ সংগ্রহ করতে পারবেন। এ অ্যাপটি ব্যবহার করলে একদিকে যেমন জরুরি প্রয়োজনে নাগরিকদের চলাচল নিশ্চিত করা যাবে, অন্যদিকে মানুষের অপ্রয়োজনীয় ও অনিয়ন্ত্রিত চলাচলও বন্ধ করা যাবে।

Link copied!