সিনোভ্যাক টিকার অ্যান্টিবডি ৬ মাসেই বিলীন!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২১, ০৮:০৪ পিএম

সিনোভ্যাক টিকার অ্যান্টিবডি ৬ মাসেই বিলীন!

চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেকের করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর দেহে তৈরি অ্যান্টিবডি প্রায় ছয় মাস সময় থেকেই বিলীন হয়ে যায়। এমনকি এই অ্যান্টিবডির মাত্রা নির্ধারিত সর্বনিম্ন মানদণ্ডের নিচেও চলে যায়। তবে তৃতীয় একটি ডোজ নিলে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণার বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

চীনের জিয়াংশু প্রদেশে সিনোভ্যাক এবং চীনের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এই গবেষণা পরিচালনা করেছে। তবে করোনার অতি-সংক্রামক ধরনগুলোর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির কার্যকারিতার ব্যাপারে গবেষণা করা হয়নি বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন চীনা গবেষকরা। এ ছাড়া তৃতীয় ডোজ দেয়ার পর অ্যান্টিবডির টিকে থাকার সময়সীমার ব্যাপারে জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে তারা মন্তব্য করেছেন।

স্থানীয় সময় রবিবার (২৫ জুলাই) চীনা বিজ্ঞানীদের  প্রকাশিত  এক  গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সী সুস্থ ব্যক্তি যারা সিনোভ্যাকের টিকা নিয়েছেন, তাদের রক্তের নমুনা নিয়ে চালানো গবেষণার ফলাফলে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে চীনা বিজ্ঞানীদেরি এই গবেষণা পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত হয়নি।

চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানির প্রধান কার্যালয়। ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস

প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা দুই থেকে চার সপ্তাহের ব্যবধানে সিনোভ্যাক বায়োটেকের টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত করোনাকে নিস্ক্রিয়কারী অ্যান্টিবডি যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ও ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ ছিল। গবেষণার এই ফল ৫০ জনের বেশি করে স্বেচ্ছাসেবীদের দু’টি দলে পাওয়া গেছে।

গবেষণায় অংশ নেওয়া অন্য ৫৪০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে তৃতীয় ডোজ দেয়া হয়েছিল। এসব স্বেচ্ছাসেবীদের কয়েকটি দলে ভাগ করে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ দেয়া হয়েছিল। এতে দেখা যায়, তৃতীয় ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পর নিস্ক্রিয়কারী অ্যান্ডিবডির মাত্রা প্রায় ৩ থেকে ৫ গুণ বৃদ্ধি পায়; যা দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার চার সপ্তাহ পর পাওয়া অ্যান্টিবডির তুলনায় অনেক বেশি।

গত জুন মাসে সিনোভ্যাকের মুখপাত্র লিউ পেইচেং রয়টার্সকে বলেছিলেন, টিকা নেওয়া লোকজনের সংগৃহীত রক্তের নমুনা নিয়ে চালানো গবেষণার প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়কারী অ্যান্টিবডির মাত্রা তিনগুণ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। তবে সিনোভ্যাকের টিকার তৃতীয় ডোজ নেওয়ার পের শরীরে টেকসই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।

সিনোভ্যাকের মুখপাত্র লিউ পেইচেং এর এই তথ্যে চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রথম ডোজ হিসেবে যারা সিনোভ্যাকের টিকা নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয় থাইল্যান্ড সরকার। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চীনের টিকার সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ডোজের মিক্স আর ম্যাচের ঘোষণা দেয় দেশটি।

Link copied!