বাংলাদেশের মুঠোয় চলে আসা ম্যাচ ফসকে গেল। পাকিস্তান আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে। ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে লিড নিল সফরকারীরা।
পাকিস্তানের জয়ের জন্য ১২৮ রানের টার্গেট ছিল। ২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পথ হারায় সফরকারীরা। ফখর জামান ও খুশদিল শাহ পঞ্চম উইকেটে ৫০ বলে ৫৬ রানের জুটি উপহার দেন। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পাকিস্তান পথ পেয়ে যায়। এছাড়া শেষে নেওয়াজ ও সাদাব খানের ১৫ বলে ৩৬ রানের সপ্তম উইকেট জুটি পাকিস্তানকে জয় এনে দিয়েছে।
বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রান করেছিল তারা। মনে হচ্ছিল এই স্লো উইকেটে ১৪০ রান লড়াকু হবে। আর ১০-১৫টা রানের আক্ষেপ থাকলো। পাকিস্তান ১৯.২ ওভারে জয় নিশ্চিত করে ৬ উইকেটে (১৩২/৬)। সাদাব ১০ বলে ২১ ও নেওয়াজ ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বল্প রানের পুঁজিকে পাহাড়সম করে ফেলেছিল। মাহেদী ও তাসকিন অবিশ্বাস্য বোলিং করেছেন। ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (১১) অসাধারণ ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। অধিনায়ক বাবরকে (৭) তাসকিন আহমেদ যখন বোল্ড করলেন তখন পাকিস্তানের স্কোর ২২। এরপর হায়দার আলি (০) ও শোয়েব মালিক (০) প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে বাংলাদেশ জয়ের নিশান আসলেই দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালেন ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। এই দুজনের জুটি পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরায়। আর শেষে সাদাব ও নেওয়াজ পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতায়।
এর আগে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আবার ব্যর্থ হয়েছেন। আর টস জিতে ব্যাট নেওয়া বাংলাদেশ ১৫ রানে হারায় ৩ উইকেট। আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান ঝটিকা ব্যাটিং ঝড়ে বাংলাদেশকে একটা পুঁজি নেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও এই মিরপুরের স্লো উইকেটে ১৪০ রান হলে লড়াকু সংগ্রহ হতো। তারপরও এই সংগ্রহেও লড়াই হতে পারে। কারণ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের মতই পিচ করা হয়েছে।
পাকিস্তানকে জিততে হবে এখন করতে হবে ১২৮ রান। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর লড়াই টা সহজ হবে না। ৩ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুদলের।
বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে করেছে ১২৭ রান। প্রেডিকশনের চেয়ে ১০ বা ১৫ রান কম হয়েছে। পাকিস্তানকে হারাতে কষ্ট করতে হবে টাইগারদের।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উনি বুঝতে পারছিলেন পরে ব্যাট করলে কঠিন হবে। কিন্তু উনি জানতেন না টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়ে বসে থাকবে। এই সিরিজে নেই তামিম, মুশফিক ও লিটন। ওপেনিংয়ে নাইমের পাশে সাইফ হাসান। দুই ওপেনার সমান ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। ৩ নম্বরে খেলতে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর স্কোর ১৪ বলে ৭ রান। মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ চতুর্থ উইকেটে ২৫ রানের জুটি উপহার দেন। তবে নুরুল ও মাহেদীর ২৪ বলে ৩৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে অনেক সামনে এগিয়ে দেয়।
মাহমুদউল্লাহ ৬ রানে আউট হয়েছেন। কিন্তু আফিফ ৩৪ বলে ৩৬ রান করলে স্বস্তি আসে দলে। পরে নুরুল ও মাহেদী ছোট খাট ঝড় তোলেন। ২২ বলে ২৮ রান নুরুল হাসান সোহানের। অন্যদিকে ২০ বলে ৩০ রান করে উইকেটে অপরাজিত ছিলেন মাহেদী। তাসকিন ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের স্কোরকে আরো সামনে নিয়ে যান।