যেকারণে ভেঙ্গে দেওয়া হলো যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের স্করপিয়ন ইউনিট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ০৫:২৩ এএম

যেকারণে ভেঙ্গে দেওয়া হলো যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের স্করপিয়ন ইউনিট

নাগরিকদের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা’র উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালে মেম্ফিস পুলিশের স্করপিয়ন ইউনিটটি চালু করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল সড়কে গণহত্যা, ছিনতাই, হামলা এবং অন্যান্য অপরাধ দূর করা। তবে সদস্যদের  মাত্রারিক্ত বাড়াবাড়ি ও দমন পীড়ণের অভিযোগ পাওয়ায় বিশেষ করে টায়ার নিকোলস নামে এক কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যার অভিযোগে ওই ইউনিটটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক টায়ার নিকোলসকে হত্যাকারী ‘স্করপিয়ন ইউনিট’ই বিলুপ্ত ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেম্ফিস পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের মেম্ফিস পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র মেজর কারেন রুডলফ এর বরাত দিয়ে সিএনএন’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।  

সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিকোলসকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্যই ছিলেন ‘স্করপিয়ন ইউনিট’র সদস্য। মেম্ফিস পুলিশ থেকে স্করপিয়ন ইউনিট পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। শুক্রবার নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ করার পর থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবারও রাস্তায় রস্তায় প্লেকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায় মার্কনিদের।

বিবৃতিতে মেজর কারেন রুডলফ বলেন, ‘যে কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে তারা স্করপিয়ান ইউনিটের সদস্য ছিলেন। তার কিছুক্ষণ আগেই মেম্ফিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করে, স্কোরপিয়ন ডিপার্টমেন্ট বিলুপ্ত করা হবে। তবে এই পদক্ষেপের ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মেম্ফিস মেয়রের কার্যালয়।

সহিংস অপরাধকর্ম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে তাদের নজরদারি চলত। টায়ার নিকোলস হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় পুলিশের এই বিশেষ ইউনিটের ৫ সদস্য। অভিযুক্তরা হলেন-ট্যাডাররিয়াস বিন, ডেমেট্রিয়াস হ্যালি, জাস্টিন স্মিথ, এমিট মার্টিন এবং ডেসমন্ড মিলস জুনিয়র। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সেকেন্ড-ডিগ্রি মার্ডার, আক্রমণ, অপহরণের দুটি, সরকারি অসদাচরণের দুটি এবং সরকারি নিপীড়নের একটি অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি মেমপিসে টায়ার নিকোলস নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে এই বিশেষ বাহিনীর ৪-৬ জন পুলিশ সদস্য পিটিয়ে হত্যা করে। এতে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিটের  গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সারা বিশ্বে শুরু হয় নিন্দা ও বিতর্কের ঝড়। শুরু হয় আন্দোলন। এরই মধ্যে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরই গোটা ইউনিটকেই বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

Link copied!