লাইভে যুবকের আত্মহত্যা, গ্রেপ্তার স্ত্রী-শ্বশুরসহ ৪ জন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৯, ২০২২, ০৭:৪১ পিএম

লাইভে যুবকের আত্মহত্যা, গ্রেপ্তার স্ত্রী-শ্বশুরসহ ৪ জন

রংপুরের পীরগাছা এলাকায় ফেসবুক লাইভে এসে ইমরোজ হোসেন রনি (৩০) নামে এক যুবক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া প্ররোচনার মামলায় স্ত্রী-শ্বশুরসহ চার জনকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এদিন রাতে সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর একতা হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার সময় রংপুরের পীরগাছা থানা এলাকায় ফেসবুক লাইভে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন ৩০। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো— রনির স্ত্রী শামীমা ইয়াসমিন ওরফে সাথী (২৩) এবং সাথীর বাবা মো. শাহজাহান ইসলাম ওরফে বাদল (৫০), বোন বিথী আক্তার (৩০) ও বোনজামাই মো. ইমদাদুল হক (৩৫)। র‌্যাব ৪ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা উক্ত আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার সঙ্গে জড়িত বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের রংপুর জেলার পীরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে র‌্যাব জানতে পারে, গত চার বছর পূর্বে একই উপজেলার পশ্চিম হাগুরিয়া হাশিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ইমরোজ হোসেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তানও জন্ম নিয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এর সূত্র ধরেই দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা ও ভরণপোষণ দাবি করে আসছিলেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

এক পর্যায়ে ইমরোজকে না জানিয়েই চাচার বাড়িতে চলে যান সাথী। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গেলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে অপমান-অপদস্ত করে।

পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার সময় ফেসবুক লাইভে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন রনি। ওই লাইভে তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা ভাইসহ শ্বশুরবাড়ির আরও কিছু সদস্যকে দায়ী করেন।

Link copied!