দেশে গত একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৫২ জন মারা গেছেন। যা গত সাত মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের ২৬ আগস্ট করোনায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৪৬ জন হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫ হাজার ৩৫৮ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এটিই একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে গত ২৯ মার্চ দেশে একদিনে সর্বোচ্চ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলো ৫ হাজার ১৮১ জন।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ২১৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ২২৪টি সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবে ২৬ হাজার ৬৭১টি নমুনা সংগ্রহ এবং ২৬ হাজার ৯৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৬টি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৩। এখন পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫২ জনের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নয় জন। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে তিন জন করে ছয় জন। সিলেট বিভাগে দুই জন। এছাড়া রংপুর বিভাগে এক জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৫১ জন, বাড়িতে একজন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আটজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৭৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ চার হাজার ৮৬১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৩ হাজার ১৩৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৭২৩ জন।