করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে বুধবার (২৪ মার্চ) একদিনে ভারতে নতুন করে প্রায় সাড়ে ৫৩ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবরের পর এটিই একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেশটিতে।
এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতি দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩১ হাজার ৮৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মহামারির প্রথম পর্বেও একদিনে কোনো রাজ্যে এত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হননি। মহারাষ্ট্রেরএর মধ্যে কেবল মুম্বাইয়ে আক্রান্ত ৫ হাজারের বেশি। এছাড়া রাজ্যের পুনে, নাগপুর, থানে,আওরঙ্গাবাদের মতো জেলাগুলোতেও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
শুধু মহারাষ্ট্র নয়, ছত্তিশগড়ের অবস্থাও খারাপ। সেখানে দৈনিক সংক্রমণ ফের দুই হাজার ছাড়াচ্ছে। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশেও দেড় হাজার ছাড়াচ্ছে। দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ আবার এক হাজার ছাড়িয়েছে।
সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্র ইতোমধ্যেই রাজ্যগুলোকে, প্রয়োজনে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন জারির অনুমতি দিয়েছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে আংশিক লকডাউন বা বিভিন্ন বিধি-নিষেধ নতুন করে জারি করা হয়েছে।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলোতে ইতোমধ্যেই প্রকাশ্যে হোলি উৎসব পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বেঙ্গালুরু পৌর এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক না পরলে ২৫০ রুপি জরিমানা করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া মহারাষ্ট্রের নাসিকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন জারি হয়েছে। আওরঙ্গাবাদেও ১১ এপ্রিল অবধি লকডাউন জারি রয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৭৬ জন। এ নিয়ে ভারতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫১ জনের। এ নিয়ে ভারতে করোনা প্রাণ কেড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯২ জনের।
সূত্র: এনডিটিভি।