খেলোয়াড়দের বয়স চুরি ধরতে ‘টিডব্লিউ৩’ পদ্ধতি অবলম্বন করে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই পদ্ধতির সঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে একটি সফটওয়্যারও ব্যবহার করবে বিসিসিআই। বয়স চুরি ধরায় অন্তত ৮০ শতাংশ খরচ কমানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত।
বয়স চুরি থামানোর চেষ্টায় কোনো ছাড় নেই বিসিসিআইয়ে। বিষয়টি কঠোর হাতে দমন করা হয়। বর্তমান টিডব্লিউ৩ পদ্ধতিতে খেলোয়াড়ের বাঁ হাত ও কবজি এক্স-রে করা হয়। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য খরচ হয় ২ হাজার ৪০০ রুপি এবং তিন থেকে চার দিন সময় লাগে। কিন্তু বোন এক্সপার্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে বয়স জানা যায় এবং প্রতিটি পরীক্ষায় খরচ মাত্র ২৮৮ রুপি। বিসিসিআই বিবৃতিতে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে, ‘বিসিসিআইয়ের একজন স্বাধীন পর্যবেক্ষকের সামনে রাজ্যের নির্ধারিত এক্স-রে সেন্টারে পরীক্ষা (টিডব্লি৩) করা হয়। এরপর বিসিসিআই এভিপি বিভাগে এসব রিপোর্ট পাঠানো হয়। এভিপি বিভাগ সব তথ্য সংগ্রহ করে বিসিসিআইয়ের স্বাধীন একজন রেডিওলজিস্টের কাছে পাঠায়, তিনি হাড়ের বয়স বের করেন।’
এই প্রক্রিয়ায় ঝামেলাও আছে। বিসিসিআইয়ের ঠিক করা স্বাধীন রেডিওলজিস্ট মাত্র ৪ জন। ৩৮টি অ্যাসোসিয়েশনের খেলোয়াড়দের সঠিক বয়স বের করতে প্রতিটি রেডিওলজিস্টকে অন্তত ৮ থেকে ৯টি অ্যাসোসিয়েশনের কাজ করতে হয়। বিসিসিআইয়ের ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, ‘কনসালট্যান্টের ওপর কাজের কেমন চাপ, তার ওপর নির্ভর করে এক থেকে তিন-চার দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যায়। এই প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ করতে দুই মাস লাগে।’ নতুন সফটওয়্যার প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে কিছু এক্স-রে ডেটাব্যাংকে দিয়ে সন্তোষজনক ফল পেয়েছি। আমরা আরও প্রচুর এক্স-রে (অন্তত ৩৮০০) ব্যবহার করে পুরো সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই। সব অ্যাসোসিয়েশনই এর আওতায় থাকবে। প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি আমরা এই সফটওয়্যার আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে চাই।’
ভারতের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে বয়স চুরির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ২০১৯ সালে এই অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেটার রাশিক আলম দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ তারকা মনজোত কার্লার বিপক্ষেও বয়স চুরির অভিযোগ উঠেছে।