নভেম্বর ২৬, ২০২১, ০১:০৯ পিএম
খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হওয়ায় দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। কেবল রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আবেদনের মাধ্যমে, ক্ষমা পাওয়ার পর দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) প্রেসক্লাবে আয়োজিত বিশ্ব সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও হলি আর্টিজান-মুম্বাই হামলা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন তুলছে খালেদা জিয়া কেন দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন না। আমি বলতে চাই বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক স্টান্টবাজি করছে। তারা খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করে বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় সরকারের দোষ ধরে বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছে।”
হানিফ বলেন, “জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বজুড়েই সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। জঙ্গিবাদের পেছনে সবসময়ই কারও না কারও পৃষ্ঠপোষকতা থাকে। আমরা বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে পুলিশি পাহারায় সশস্ত্র মিছিল হতে দেখেছি। বাংলাদেশকে এর মাধ্যমে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করছিলো বিএনপি এবং জামায়াত। স্বাধীন বাংলাদেশ মেনে নিতে না পেরে তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মাধ্যমে দেশে অস্থির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছিলো।”
আমাদের জাতির সৌভাগ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলেও জানান হানিফ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কাদের হাত ছিলো ইতিহাসের কালক্রমে আজ তা পরিষ্কার। জিয়াউর রহমান দেশের ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, "এটা ঠিক যে বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে এটাও সত্য বেগম খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী। বেগম খালেদা জিয়া সৌভাগ্যবান যে তিনি কারাগারে থাকাবস্থায় বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কারণে। এমনকি তিনি বাসায় এখন চিকিৎসা সুবিধা ভোগ করেছেন, তাও প্রধানমন্ত্রীর জন্যই।”