ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থান কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের আরাকান স্যালভেশন আর্মিসহ (আরসা) ১১টি সশস্ত্র দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। এসব গোষ্ঠী মাদক, চাঁদাবাজি, মানব পাচার নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। ঘটছে হতাহতের ঘটনা। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে আরসার উপস্থিতি ও তাদের সন্দেহজনক কার্যক্রম নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে মন্ত্রণালয়টির দেওয়া এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু করলে কয়েক মাসে রাখাইন থেকে এসেছে ৮ লাখ রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পৃথক তিনটি ব্যাটালিয়নের ২ হাজার ৩০০ সদস্য নিয়োজিত আছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, উখিয়া, বালুখালী, পালংখালী ও হোয়াইক্যং শিবিরে আরসা সক্রিয় রয়েছে। অন্যদিকে, আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) সক্রিয় উখিয়া ও পালংখালী শিবিরে। হোয়াইক্যং শিবিরে সক্রিয় ইসলামি মাহাজ। উখিয়া ও পালংখালী শিবিরে মাস্টার মুন্না দল সক্রিয়। নয়াপাড়া শিবিরে সক্রিয় আছে-চাকমা ডাকাত দল, নবী হোসেন ডাকাত দল, পুতিয়া ডাকাত দল, জাকির ডাকাত দল, সালমান শাহ ডাকাত দল ও খালেক ডাকাত দল। এছাড়া, হোয়াইক্যং ক্যাম্পে সক্রিয় রয়েছে জাবু ডাকাত দল।