দাবী না মানা হলে পরিবহন ধর্মঘট চলবেই। দাবী মানা হলেই কেবল ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে। শনিবার (৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাক শ্রমিক-মালিক ফেডারেশনের অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল মোতালেব একথা বলেন। এদিকে, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান পরিবহন ধর্মঘটে জনগণের ভোগান্তি চরমে।
আব্দুল মোতালেব বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) থেকে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট চলবে। তিনি আরো জানান, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন। দাবি মানা হলেই কেবল ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে’।
দেশে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহণ ধর্মঘট পালন করছেন মালিক-শ্রমিকেরা। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে জনসাধারণ। আন্তঃজেলা যান চলাচল বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানী অভিমুখী মানুষ যেমন আসতে পারছে না তেমনি রাজধানী থেকে বেরও হতে পারছে না।
এদিকে, আজও রাজধানীতে কোন বেসরকারীকে গণপরবহন চলাচল করেনি। তবে, রাষ্ট্রায়ত্ত বিআরটিসি’র কিছু বাস চলতে দেখা গেছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, লেগুনায় করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন তাঁরা।
পরিবহন ধর্মঘটের ফলে ঢাকার চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকেরা। প্রায় ১০ লাখের বেশি শ্রমিক অধ্যুষিত শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় শনিবার (০৬ নভেম্বর) সকাল থেকেই পরিবহণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা।
শ্রমিকদের মধ্যে যেভাবেই পেরেছেন, সময়মতো হাজিরা দিতে পরিমরি করে রিকশা-ভ্যানে উঠে কর্মস্থলের পথ ধরেছেন। অনেকে হেঁটেই কারখানায় গেছেন। এ ছাড়া ভোর থেকেই পরিবহণের অপেক্ষায় থাকা শ্রমিকদের জটলার সৃষ্টি হয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে।