ডিসেম্বর ১৪, ২০২১, ০৯:২৭ এএম
‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তাদের সামরিক সচিব।
পরে জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। তারপর, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “১৯৭১ সালে যারা বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ঘাতকেরা বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে আছে। আমরা তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আশ্রয়কারী দেশগুলো তাদের দেশের রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কথা বলে তাদেরকে হস্তান্তর করছে না।”
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, “আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৭১- এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-মৌলবাদীচক্রের রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।”
১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাত্র দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।