রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা যে কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
সুজন সম্পাদক বলেন, “এই ভদ্রলোক (সিইসি নূরুল হুদা) এখন আমাদের দোষারোপ করার চেষ্টা করছেন। কোনো তথ্য প্রমাণ থাকলে তুলে ধরুক। এই চ্যালেঞ্জ আমি দিচ্ছি।”
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক বৈঠকে বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন সিইসি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ওই অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সংলাপ আয়োজনে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল বলে জানান সিইসি। তবে অভিযোগ তদন্ত হয়নি। ওই ঘটনার সময় যারা কমিশনে ছিলেন তারা তদন্ত করেননি বলেও তিনি জানান।
সিইসির ওই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ড. মজুমদার গণমাধ্যমে, “পুরো নির্বাচনী ফলাফল বানোয়াট ছিল। এটি বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২১৩ কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। বিএনপি ১২ সেন্টারে শূন্য ভোট পেয়েছে। আওয়ামী লীগও দুটো সেন্টারে শূন্য ভোট পেয়েছে। এটা অসম্ভব। অর্থাৎ পুরো নির্বাচনী ফলাফলই বানোয়াট ছিল, এটা আমরা তুলে ধরেছি।”
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “নির্বাচন কমিশন ব্যবসা করে না। আমিও করি না। আমি বেকারও না। ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছে, তখন সৈয়দ আবুল মকসুদ, ড. হাফিজসহ আমাদের সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির মেম্বাররা অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে গিয়েছি। আমরা যে কাজ করেছি, তথ্য-উপাত্ত দিয়ে করেছি। আর তিনি বলেছেন, মুড়ির ঢোঙা? (প্রার্থীদের হলফনামা একীভূত করে সুজনের প্রকাশিত বই)। এই ভদ্রলোকের সাথে সততা, সতত্যার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধংস করেছে। আমাদের ভোটাধিকার হরণ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ৪২ জন নাগরিক রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হয়েছি, সুপ্রিম জুড়িসিয়াল কাউন্সিল করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য। টেলিভিশন তাদের দুর্নীতি নিয়ে সাত-আট পর্বের অনুষ্ঠান করেছে।