ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
বইপ্রেমী বাঙালির প্রাণের মেলা হিসেবে পরিচিত অমর একুশে বইমেলা। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া মেলা দেখতে দেখতে শেষের পথে। শুরুতে বই বিক্রিতে মন্থর ভাব থাকলেও শেষের দিকে জমে উঠেছে এবারের মেলা।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে সরেজমিনে ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
বইবিক্রেতারা বলছেন, ‘বইমেলার প্রথম দিন থেকেই বিশেষত ছুটির দিন গুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু হতাশার ব্যাপার হলো, মেলায় আগত মানুষের তুলনায় বইয়ের বেচা-কেনা ছিল খুবই কম। কিন্তু কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে মেলায় বেড়েছে ক্রেতার সংখ্যা। এখন মেলার শেষ দিকে প্রচুর বই বিক্রি হচ্ছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: নজরুল-রবীন্দ্রনাথেই আগ্রহ বেশি পাঠকের
বইমেলায় মাওলা ব্রাদার্সের বিক্রয় প্রতিনিধি তামিম আল রাজি বলেন, ‘বইমেলার প্রথম দিন থেকেই আমরা প্রচুর মানুষের আগমন দেখতে পেয়েছি। কিন্তু সেই তুলনায় বিক্রি আশাজনক ছিল না। মেলায় ইনফ্লুয়েন্সার, টিকটকার, ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যাই বেশি ছিল। এখন প্রকৃত পাঠক ও দর্শনার্থীরা আসছেন। তারা নিজেদের পছন্দের বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিক্রি বাড়ায় আমরাও খুশি।’
এদিকে, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের সেলসম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বইমেলার প্রথম থেকে মানুষজন ছবি তুলতে, ঘুরতে আসতো। এখন মেলায় শুধু বইপ্রেমীরাই আসছেন। ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা কমই বলা যায়। আমরা যেহেতু বইমেলায় বই বিক্রি করতে এসেছি। বই বিক্রি বাড়ায় আমাদের অবশ্যই খুশি হওয়ার বিষয়টি এসে যায়।’
আরও পড়ুন: গবেষণাধর্মী বইয়ের সংখ্যা বাড়লেও আগ্রহ নেই তরুণদের
এদিকে মেলায় আগত দর্শনার্থীদেরও একই ধরনের মতামত। মোহাম্মদপুর থেকে আগত ৪০ বছর বয়সী আফজাল হোসেন বলেন, কাজের ব্যস্ততায় এবারের বইমেলায় আসা হয়নি। আজই প্রথমবারের মত আসলাম। আমার একুশে বইমেলার ওয়েবসাইট থেকে পছন্দের বইগুলো সিলেক্ট করে রেখেছিলাম। আজকে ওইগুলো কিনতে এসেছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি কিনেছি।
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলায় দৃষ্টিহীনদের আক্ষেপ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের পাশে প্রায় প্রতিদিনই বইমেলা আসা হয়েছে। টুকটাক বই কিনেছিলাম। মেলায় প্রতিদিন এসে দেখতাম টিকটকার, ঘুরতে আসা মানুষদের জন্য হাটা যেতো না। বই বিখ্যাতদের কাছ থেকে জানতে পারতাম আশানুরূপভাব বই বিক্রি হয়নি। আজ দেখলাম প্রচুর মানুষ বই কিনতে আসছেন।’