বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাছরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার চেক জালিয়াতি মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট লক্ষ্মীপুর সদর আদালতের বিচারক শামছুল আরেফিন এ আদেশ দেন।
পরোয়ানাভুক্ত অন্যরা হলেন ইভ্যালির ম্যানেজার ফাইন্যান্স জায়েদ হাসান, সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স আব্দুল্যা আল মাসুদ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল। মামলার বাদী সুজন ও তার আইনজীবি নিক্সন পিনি বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানিা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হক সুজন এসি, টিভি, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য ইভ্যালিতে অগ্রিম ১৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু পণ্যগুলো দিতে ইভ্যালি ব্যর্থ হয়। এতে ইভ্যালির কর্মকর্তা জায়েদ হাসান ও আব্দুল্যা আল মাসুদের যৌথ স্বাক্ষরে মিডল্যান্ড ব্যাংক হিসাবে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার ৩ টি চেক রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সুজনের কাছে পাঠায়। এতে চেকগুলো নগদায়নের জন্য তিনি গত ১৩ জানুয়ারি নিজের ওয়ান ব্যাংক হিসাবে জমা দেন।
ওয়ান ব্যাংক থেকে চেকগুলো নগদায়নের জন্য মিডল্যান্ড ব্যাংকে পাঠালে জানা যায় ইভ্যালির হিসাব বন্ধ রয়েছে। এতে ডিজঅনারপূর্বক চেকগুলো ফেরত আসে। ১০ ফেব্রুয়ারি সুজন আইনজীবীর মাধ্যমে পাওনা টাকার জন্য অভিযুক্তদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু তারা পাওনা টাকা পরিশোধ ও চেকগুলোও ফেরত নেয়নি। এতে ইভ্যালির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা ও হিসাব বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চেক প্রদান করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলতি বছর ২৭ ও ২৮ মার্চ তারিখে ১৮৮১ সালের এন.আই.এ্যাক্টের ১৩৮/১৪০ ধারায় মামলা দায়ের করেন মাহমুদুল। মামলাগুলো আমলে নিয়ে বিচারক সমন জারি করেন। মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আদালত নোটিশ পাঠান। কিন্তু আসামিরা আদালতে উপস্থিত হননি। এতে আদালতের বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন।