নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া আইনকে ‘নতুন মোড়কে পুরনো জিনিস’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
আইন করার পরও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে ‘সংশয় থেকে যাচ্ছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, “নতুন করা আইনটি পুরাতন পদ্ধতিকে একটি আইনগত কাঠামোতে এনে আইনসম্মত করা হচ্ছে।”
শনিবার বিকালে বনানীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
জাতীয় সংসদে গত বৃহস্পতিবার বহুল আলোচিত ইসি গঠন আইনের বিলটি পাস হয়। এ বিষয়ে তিনি ডিসেম্বরের শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে জাতীয় পার্টির দেওয়া প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।
জিএম কাদের বলেন, “আমরা প্রস্তাব করেছিলাম আগামীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে তার জন্য উপরোক্ত সংবিধানের বিধান অনুসারে একটি আইন করা দরকার।
“আইনের উদ্দেশ্য হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন ও সে অনুযায়ী যোগ্য ও মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করার মাপকাঠি ও পন্থা সুনির্দিষ্ট করা।”
এর ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমরা যোগ্যতার মাপকাঠি বলতে দায়িত্ব পালনের দক্ষতাকে বুঝিয়েছি। মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বলতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে নিরপেক্ষ ব্যক্তি নির্বাচনের কথা বুঝিয়েছিলাম।”
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে মতবিনিময়ে গত ২০ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে বসে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলটির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা উল্লেখ করেছিলাম আমাদের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।’
“কিন্তু বাস্তবে এ বিষয়টি খুব একটা কার্যকর হতে দেখা যায় না। ফলে কিভাবে এটি প্রযোজ্য হবে বা কার্যকর করা যাবে তার বিস্তারিত বর্ণনা থাকা আবশ্যক।”