জুলাই ১৫, ২০২৩, ০৭:২৮ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৫ই জুলাই) জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন। সে সময় ওই হাসপাতালে ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছর বয়সী এক শিশুর পড়াশোনাসহ সকল দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে আসা রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় ছোট্ট একটি শিশুর ওপর চোখ পড়ে তাঁর। শিশুটিকে ডেকে আদর করে শিশুটির সম্পর্কে জানতে চান তিনি।
রাব্বী নামের ১১ বছর বয়সী শিশুটি জানায়, সে চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে। দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়। অভাবের কারণে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে এবং সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছেন ও তার মা রাবেয়া বেগম চাঁদপুরে রাম দাসদি আশ্রয়ণ-প্রকল্পে বসবাস করে। রাব্বীর সৎ বাবা জাহাঙ্গীর আলম দিনমজুর।
ছোট্ট শিশুটি প্রধানমন্ত্রীকে জানায় সে চাঁদপুরে মায়ের কাছে যেতে চায়। আবার পড়াশোনা করতে চায়।
এ কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। রাব্বীর পড়াশোনাসহ সকল দায়িত্ব নেন তিনি। রাব্বীর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।