গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেই মৃত্যুবরণ, বারবার আবেদনেও জামিন না পাওয়া, ছোট অপরাধে বড় দণ্ড, একই বিষয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা—ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এমন সব ঘটনা, আইনটির অপপ্রয়োগ ও এতে নানা অসামঞ্জস্যের কথা তুলে ধরে এটি সংশোধনের দাবি তুলেছেন সাংসদ ও বিশিষ্টজনেরা।
আজ বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮: চড়া মূল্য দিচ্ছে কারা?’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে আইনটি সংশোধনের এ দাবি করা হয়। আবার সাইবার জগৎকে নিরাপদ করতে আইনটিই বাদ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন কেউ কেউ।
ওয়েবিনারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘কোনো আইন চিরন্তন নয়। এই আইনের যেসব ধারার অপপ্রয়োগ হচ্ছে, সেসব বিবেচনা করা যেতে পারে।’
ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল আইনে করা মোট ৮৩৫টি মামলার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে সিজিএস। এসব মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২২ জন এবং তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭০৭ জন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যায় রয়েছেন রাজনীতিবিদেরা, এরপর সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা।
ডিজিটাল আইনে করা মামলাগুলো বিশ্লেষণ করেছেন জিল্লুর রহমান। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর মানহানির অভিযোগে এই সময়ে ৯৫টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দলীয় সমর্থকেরা করেছেন ৮২টি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করেছে ১৩টি।