সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ০২:৩৮ এএম
বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ হয়ে ভারতে পণ্য পরিবহণের পরীক্ষামূলক একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমভি ‘ট্রান্স সামুদেরা’ নামে জাহাজটি ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে ট্রানজিটের এক কনটেইনার টিএমটি বার (লোহা) নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছে।এ চালানটি বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে (আসাম) যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে এমভি সেঁজুতি জাহাজে কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রানজিটের চার কনটেইনার পণ্য এসেছিল। গত মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের আরেকটি সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মেঘালয় থেকে চায়ের কনটেইনার ডাউকি-তামাবিল হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের ট্রায়াল রানের শেষ চালানটি কলকাতা বন্দরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ট্রান্স সমুদেরা জাহাজের শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল সুজন ভূইয়া জানান, কলকাতা বন্দর থেকে মোট ১২৪ একক আমদানি পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি রাত ৮টায় চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। এর মধ্যে একটি কনটেইনারে ট্রানজিট পণ্য আছে। বাকি কনটেইনারে পণ্যের আমদানিকারক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। এর আগে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছিল।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট চুক্তির আওতায় আমদানি-রপ্তানি দুই ধরনের পণ্য উঠানামায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার একক আমদানি-রপ্তানি-খালি কনটেইনার ওঠানামা করছে, ফলে ভারত থেকে আসা-যাওয়া করা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য অনায়াসেই এই বন্দরে ওঠানো-নামানো সম্ভব।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হচ্ছে- এটি গৌরবের। এতে বন্ধু প্রতিম দুই দেশ উপকৃত হবে।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান গণমাধ্যমকে জানান, ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ প্রস্তুত।