ডিসেম্বর ৮, ২০২১, ১০:১০ পিএম
দল থেকে বহিষ্কার করা হলেই কেবল সাংসদ পদ যাবে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী একথা জানান।
এদিকে, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তদন্তের জন্য পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অডিও-ভিডিও ফুটেজে মুরাদ হাসানের অবস্থানের সত্যতা মিললে সাইবার বিভাগের সুপারিশে শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
আনিসুল হক বলেন, “মুরাদ হাসান দল থেকে বহিষ্কার হলেই তার সংসদ সদস্য পদ থাকা না থাকার আইনি বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।”
এদিকে, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্যসংবলিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে তাকে খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করতে শোনা যায়।
ওই ভিডিওতে মুরাদ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রোকেয়া হল ও শামসুন নাহার হলের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
এরই মধ্যে রোববার (৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায় এটি।
মুরাদ হাসান পেশায় চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রথমে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।