১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির আট নেতাকর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে ১ জুন তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
শনিবার রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বহিষ্কারের এই চিঠি পাঠান। খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টনের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজীবন বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়েছে, ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে গত ১ জুন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে আপনি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেননি যা গুরুতর অসদাচরণ।
এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে আপনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনাকে এমন অবজ্ঞার জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে নির্দেশক্রমে আপনাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো। গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম একজন বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে।
যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন (৫ নম্বর ওয়ার্ড), ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক আশফাকুর রহমান কাকন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহবুব কায়সার (২২ নম্বর ওয়ার্ড), দৌলতপুর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম মোসফেকুস সালেহীন পাইলট (১৪ নম্বর ওয়ার্ড), মহিলা দল নেত্রী মাজেদা খাতুন (সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ড), বিএনপি নেতা মো. আমান উল্লাহ আমান (৩০ নম্বর ওয়ার্ড), সাবেক ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন (১৮ নম্বর ওয়ার্ড), মহানগর তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার মাতুব্বর (৯ নম্বর ওয়ার্ড)।