বেটা
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করলেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশপাশি নির্বাচন কমিশনকে বদলাতে হবে বলেও তিনি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শাখা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায়, তবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও বদলাতে হবে। কারণ ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়।”
আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছিল উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৭৩ দিন তারা হরতালও করেছিল। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যাও করেছিল। এতে লাভও হয়েছিল। কখনো আওয়ামী লীগ ভোটে জয়ী হয়, আবার কখনো বিএনপি জয়ী হয়।”
সরকারের সমালাচনা করে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, “ আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে আটক রেখেছে। একইভাবে তারেক জিয়াকে বিদেশে নির্বাসন দিয়েছে ফ্যাসিস্ট এই সরকার।”
আওয়ামী লীগ সরকারকে ডাকাতের সরকার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ হলো একটি চোরের দল। আওয়ামী লীগ হলো নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি। তা না হলে কেন বঙ্গবন্ধু আক্ষেপ করে বলেছিলেন বিদেশ থেকে আনলাম সাড়ে সাত কোটি কম্বল, আমার কম্বলটি গেল কোথায়! তাহলে কী বলা যায় না আওয়ামী লীগ একটি ডাকাতের দল, লুটেরার দল।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের ভোটের ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক দল বিএনপি কখনই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে রয়েছে থাকবে।” এসময় তিনি আবারো আন্দোলনের হুমকি দেন।
এএনএম রোকনউদ্দীন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ।
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
