সম্মেলনের প্রায় আট মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ। রবিবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুমোদনের পর এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ওবায়দুল কাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অনুমোদন দেন।
২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন মেহের আফরোজ চুমকি এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শবনম জাহান শিলা এমপি।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের কমিটি থেকে তেমন বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। কমিটির আকারও রয়েছে গত কমিটির মতোই। কয়েকটি পদ শূন্য রেখে ১৭১ সদস্যের এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ২৪ জন সহ-সভাপতি, ৮ জন যুগ্ম-সা: সম্পাদক এবং ৮ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন। এছাড়া ২৩ জন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং ১০৬ জন সদস্যও রয়েছেন। এ ছাড়া উপদেষ্টা কমিটির ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন- শিরীন নাঈম পুনম, নাসিমা ফেরদৌস, ইয়াসমিন হোসেন, আসমা জেরিন ঝুমু, অ্যাডভোকেট আনোয়ারা শাজাহান, রোকেয়া বেগম, ফারহানা ডলি, আজিজা খানম কেয়া, জান্নাতুল বাকিয়া, বনশ্রী বিশ্বাস স্মৃতিকনা, কামরুন্নেসা মান্নান, আলেয়া পারভীন রঞ্জু, খাদিজা শেফালী, শিখা চক্রবর্তী, ফরিদা রেজা, আফরোজা হাসমত, কোহিনুর বেগম, ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা, দিলরুবা জামান শেলী, সোহেলা পারভীন রানু, নাজমা হোসেন, অ্যাডভোকেট মোর্শেদা লিপি ও তাহমিনা খাতুন শিলু। আরেকজন সহ-সভাপতির পদ শূন্য রাখা হয়েছে।
আটজন যুগ্ম-সা: সম্পাদক হলেন, শিরীন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রাজিয়া পান্না, আনার কলি পুতুল, রোজিনা নাসরিন রোজি, নাসরিন সুলতানা, নীলিমা আক্তার লিলি ও নারগিস রহমান।
সাংগঠনিক সম্পাদক আটজন হলেন, ঝর্ণা বাড়ৈ, সোহাইলা আফসানা ইকো, আদিবা আঞ্জুম মিতা, রাজিয়া মোস্তফা, মরিয়ম বিন্তে খেয়া, লিপি বেগম, সামসুন্নাহার রত্না ও দিপীকা সমাদ্দার।
এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সম্মেলনের ৪৫ দিনের মধ্যে দলের যেকোনো পর্যায়ের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের বেলায়ও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রায় আট মাস পরে মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে।