চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুই নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রায় দেড় যুগ পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি দুই আসামি আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) ও মিন্টু ওরফে কালুর(৫০) ফাঁসি যশোর কারাগারে কার্যকর করা হয়েছে। সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে বলেন, সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট ও ১০ টাকা ৫০ মিনিটে যথাক্রমে আজিজ ও কালুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। ফাঁসিতে ঝোলানোর সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জন, চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাত ১২টার দিকে দুজনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলাদা আলাদা অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশ প্রহরায় দুজনের মরদেহ নিয়ে রওনা দেন স্বজনরা।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের দুজনকে ধর্ষণ করা হয়।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ধর্ষিত ওই নারীকে হত্যা করা হয়। শুধু তা-ই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাদের গলাও কাটা হয়।
এই বর্বর ঘটনার পরদিনই নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চারজনকে আসামি করা হয়। অপর দুজন হলেন- একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন থাকাকালে আসামি মহি মারা যান।
২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুজন, কালু ও মিন্টুকে মৃত্যুন্ডাদেশ দেন। এর পর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে বেকসুর খালাস দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু ও মিন্টু প্রাণভিক্ষা চাইলে রাষ্ট্রপতির তা নামঞ্জুর করেন।