গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ বেগম (৫২) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১২ মে) সকাল ১১টার দিকে তিন নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মমতাজ বেগম কাপাসিয়া উপজেলার বারিগাঁও গ্রামের মো. শারফুদ্দিনের মেয়ে। ভোরে চিকিৎসার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক রুবিনা ইয়াসমিনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিতে অন্যদের মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার প্রতিনিধি হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল মেডিসিন চিকিৎসক, ওয়ার্ড মাস্টার রয়েছেন। তিন কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।”
মমতাজের মামা শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, “সকাল ৬টার দিকে অসুস্থতার কারণে মমতাজকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে হাসপাতালের ১১ তলায় ভর্তি দেন চিকিৎসক। সকালে হাসপাতালের ১১ তলা থেকে চতুর্থ তলায় ডাক্তার দেখাতে নামার সময় হঠাৎ লিফট বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় লিফটে ১৮ থেকে ২০ জনের মতো মানুষ ছিলেন। ৪৫ মিনিট লিফটের ভেতর আটকে থাকার পর হাসপাতালের লোকজন ৯ তলায় লিফট ফাঁকা করে তাদের বাইরে বের করেন। তবে, লিফট থেকে বের হওয়ার আগেই মমতাজ বেগম মারা যান।”
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাসনিন জাহান বলেন, “লিফটের ভেতর একজন রোগী মারা গেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল ইসলাম বলেন, “মমতাজ বেগম অসুস্থ ছিলেন। লিফটে আটকে পড়ার পর অক্সিজেন সংকটে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”