ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৫ জন কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোববার (১১ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে ব্যাংকটির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ৫ কর্মকর্তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ইসলামী ব্যাংকের গোডাউন গার্ড (ডিজি) শফিউল্লাহ সরদার, অফিসার মামুন, আব্দুর রহমান ও বাকী বিল্লাহ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এস আলম গ্রুপের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিফতাহ উদ্দিন তার সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে কয়েকজন বিক্ষোভকারী তাদের বাধা দেন। তখন আকস্মিকভাবে ব্যাংকটির নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্মা ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালান। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী উল্লেখ করেছেন, শটগান দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, জামানতবিহীন, অনিয়ম করে ঋণ কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। এ সময় হঠাৎ এস আলম গ্রুপের হয়ে কাজ করা কয়েকজন কর্মকর্তা প্রায় শতাধিক লোক অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে বহিরাগতরা অস্ত্র বের করে গোলাগুলি শুরু করেন। এ ঘটনায় ৫ কর্মকর্তা আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে উপস্থিত কর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকেই ইসলামী ব্যাংকে অস্থিরতা দেখা দেয়। গত ১৫ বছর ধরে ব্যাংকের সুযোগ-সুবিধা ও পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু করেন একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই বিক্ষোভেরই একপর্যায়ে গত ৮ আগস্ট ইসলামী ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ান কায়সার আলী। আগের দিন বুধবার ব্যাংকের কর্মকর্তার সামনে সাদা কাগজে সই করে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন কায়সার আলী।