২০২৩ সালে বিশ্বে বায়ুদূষণে বাংলাদেশের অবস্থান ১ নম্বরে ছিল। সম্প্রতি বায়ুদূষণ নিয়ে ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। আইকিউএয়ারের ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের বাতাসে গত বছর যে পরিমাণ দূষিত কণা ছিল, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার।
বায়ুদূষণে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। এর আগে ২০২২ সালে এই তালিকায় নিচের দিক থেকে ৫ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। এবার চাদ ও ইরানকে সরিয়ে যথাক্রমে ১ ও ৩ নম্বরে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত। ২০২২ সালে ভারতের অবস্থান ছিল নিচের দিক থেকে ৮ নম্বরে।
আইকিউএয়ার বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে পিএম-২ দশমিক ৫-এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯০ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৭০ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি থাকা উচিত না।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোয়েডার বলেন, ‘জলবায়ু পরিস্থিতি ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই ৩ দেশে পিএম ২ দশমিক ৫-এর ঘনত্ব এত বেশি। আরেকটি বড় কারণ দূষিত পদার্থের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকা। কৃষি ব্যবস্থা, শিল্পায়ন ও জনসংখ্যার ঘনত্বও দূষণের কারণ।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ ফিরোজ খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বাংলাদেশে অকালমৃত্যুর ২০ শতাংশই হয় বায়ুদূষণজনিত রোগ। এসব রোগের চিকিৎসায় জিডিপির অন্তত ৪-৫ শতাংশ ব্যয় হয়।’