সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করবে ডেঙ্গুর প্রকোপ। যদি বৃষ্টিপাত না হয় এবং টানা দুই সপ্তাহ রোগীর সংখ্যা কমে আসে, তাহলে বলা যাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে। আর যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরো সময় লাগবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ড. মুশতাক হোসেন।
তিনি বলেন, আগে মূলত ঢাকায় ডেঙ্গু ছিল, এখন গ্রাম পর্যায়ে চলে গেছে। সেখানে তো মশক নিধনের কোনো ব্যবস্থা নেই। কাজেই বলা যায়, ডেঙ্গু পরিস্থিতি কমবে না বাড়বে, সেটা আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পরিস্থিতির উন্নতি কখন হবে, তা স্পষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির কখন উন্নতি হবে বা স্বাভাবিক অবস্থায় কখন ফিরবে, তা মূলত আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করছে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। এর অর্ধেকই মারা গেছে চলতি আগস্টে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এক লাখ ছয় হাজার ৪২৯ হলো।
চলতি আগস্টে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৪ হাজার ৫৯৭ জন, এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫৫ জনের। অর্থাৎ দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর অর্ধেকের বেশি হয়েছে এ মাসেই।
এর আগে শুধু ২০১৯ সালের আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল। অবশ্য এর পরের মাসে রোগীর সংখ্যা কমে হয় ১৬ হাজার ৮৬৫। পরের বছর ২০২০ সালে সর্বোচ্চ ৫৪৬ জন রোগী পাওয়া যায় নভেম্বর মাসে, ২০২১ সালে সর্বোচ্চ সাত হাজার ৮৪১ রোগী পাওয়া যায় সেপ্টেম্বর মাসে, গত বছর সর্বোচ্চ ২১ হাজার ৯৩২ রোগী পাওয়া যায় অক্টোবর মাসে।