জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়াও, সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে সিন্ডিকেট আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলো হলো-
১. ইতোমধ্যে যাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে তাদের এবং অবৈধভাবে হলে অবস্থানরত অন্যান্য শিক্ষার্থী ও পোষ্যদের আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে হল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে বলা হয়েছে।
হল ত্যাগ না করলে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
২. ভাসমান দোকান সরিয়ে দিতে নিরাপত্তা ও এস্টেট শাখাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৩. ক্যাম্পাসে অনুমোদনহীন অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা শাখা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
এর আগে এই ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ও তাকে হল থেকে পালাতে সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের হাসান প্রান্ত, ৪৬তম ব্যাচের সাগর সিদ্দিকী এবং উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের সাব্বির হাসান।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে আজ বিকেল থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার সনদ স্থগিত করা হয়েছে।
তাকে সহযোগিতাকারী একই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার ও সনদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
অভিযুক্তকে পালাতে সহায়তা করার নির্দেশদাতা একই বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ পরানের সনদ স্থগিত করা হয়েছে।