ছবি: সংগৃহীত
রংপুরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার, ২২ জুন বিকেল পাঁচটার দিকে রংপুর মহানগর দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মার্জিয়া ইসলাম এ আদেশ দেন।
পরে সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। মাহমুদুল হকের আইনজীবী রোকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোকনুজ্জামান বলেন, আজ দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন আদালত-১–এ (হাজীরহাট আমলি আদালত) মাহমুদুল হকের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। সেখানে জামিন শুনানির তারিখ আগামী মঙ্গলবার ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু মাহমুদুল হক শারীরিকভাবে অসুস্থ। এ জন্য গত বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুরের বিপরীতে মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারক মানবিক বিবেচনায় মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগপত্র দেওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
মাহমুদুল হকের কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় তার স্ত্রী মাসুবা হাসান, ছেলে মাইমুন মিহরান, আইনজীবী শামীম মাল মামুন, রোকনুজ্জামান, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক শাহরিয়ার তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মাহমুদুল হককে নিয়ে যাওয়া হয়।
আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, মাহমুদুল হক অসুস্থ। দুপুরে জামিন আবেদন অসুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। জেলখানা কর্তৃপক্ষও তার অসুস্থতার বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছে। মাহমুদুল হকের শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত জামিন দিয়েছেন। কারামুক্ত মাহমুদুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, ‘তিন দিন পর স্যারকে পেয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। কিন্তু যেভাবে তাঁর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এগুলোর সঠিক তদন্তের দাবি জানাই।’
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদুল হককে রংপুর নগরের ধাপ ইঞ্জিনিয়ারপাড়া এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে হাজীরহাট থানা-পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মাহমুদুল হক রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গত আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে ৩ জুন হাজীরহাট থানায় ৫৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন নগরের রাধাকৃষ্ণপুর মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা আমেনা বেগম। মাহমুদুল হক ওই মামলার ৫৪ নম্বর আসামি।