জানুয়ারি ৬, ২০২৪, ০১:১০ পিএম
রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪২ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রের ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। যাদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন, নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৮৫২ জন।
নির্বাচনে অংশ নিয়েছে যেসব রাজনৈতিক দল
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি।
নির্বাচনি ময়দানে থাকছে না বিএনপি-জামায়াত জোট। তবে কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।বিশেষ করে নৌকা ও স্বতন্ত্রদের লড়াই চলবে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা ও স্বতন্ত্র)
আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী : ২৬৪ জন
শক্তিশালী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী : ১২৮ জন
স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান এমপি : ১৭ জন
স্থানীয় সরকারের পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী : ৩৫ জন
প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হতে পারে ১২৩টি আসনে
· ঢাকা বিভাগের ৭০ আসনের মধ্যে ৩১টিতে
· চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৮ আসনের মধ্যে ১৯টিতে
· রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনের মধ্যে ১৫টিতে
· রাজশাহী বিভাগের ৩৯ আসনের মধ্যে ১৯টিতে
· বরিশাল বিভাগের ২১ আসনের মধ্যে ১৩টিতে
· সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের ৯টিতে
· ময়মনসিংহ বিভাগের ২৪ আসনের মধ্যে ৯টিতে
· খুলনা বিভাগের ৩৬ আসনের মধ্যে ৮টিতে
(এসব আসনে নৌকার প্রার্থীদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন।)
ঢাকা বিভাগ: তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৩১ আসনে
ঢাকা-১, ৪, ১৮ ও ১৯ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ঢাকা-১ আসনটি ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। ঢাকা-১ আসন। এই আসনে এবার এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তার প্রধান প্রতিদন্দ্বী ২০১৪ সালের জয়ী সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। এছাড়া ওই আসনে এবার তৃণমূল বিএনপিসহ আরও ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। নোৗকা এবং লাঙল প্রতীকের শক্ত প্রার্থী থাকায় এখানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ঢাকা-৪ ঢাকা-৪ আসনে এবার প্রার্থী হয়েছেন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে জয়ী সংসদ সদস্য সানজিদা খানম। তাঁর বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে জয়ী সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা। এছাড়া এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ড. মো. আওলাদ হোসেন। তাই এখানে লড়াই হবে ত্রিমুখী। এখানে মোট প্রার্থী সংখ্যা ১১ জন।
ঢাকা-১৮ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ায় এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। প্রথমবারের মত জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরেন স্ত্রী শেরিফা কাদের। কিন্তু এখানে শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী। এছাড়া এই আসনে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএফসহ আরও ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরীর সঙ্গে শেরিফা কাদেরের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ঢাকা-১৯ আসনে নৌকার প্রার্থী দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ জং)। এই আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গাজীপুর-১, ২ ও ৩ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।
গাজীপুর-১ আসনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।
গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম।
গাজীপুর-৩ আসনের ২বারের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মো. রহমত আলীর সন্তান রুমানা আলী এবার নৌকার প্রার্থী। আগেরবারের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শক্তিশালী। এখানে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ লড়াই খুব জমবে।
নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন গাজী গোলাম দস্তগীর বীরপ্রতিক। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। শক্ত প্রার্থী আছেন শাহজান ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র)।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে এবার নৌকার প্রার্থী হয়েছেন তিনবারের জয়ী সংসদ সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম বাবু। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আরেক সাবেক ছাত্রনেতা আলমগীর শিকদার লোটন। লোটনের বাবা একসময় এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া এই আসনে প্রার্থী হয়েছে সাবেক বিএনপি নেতা কে এম আবু হানিফ হৃদয়। তিনি তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী। সবমিলিয়ে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনটি জেলার সোনারগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন কায়সার হাসনাত। তার বিপরীতে আছেন গত দুইবার জাতীয় পার্টি থেকে জয়ী সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। এই আসনে বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এবং বিএনএমসহ বর্তমানে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৯ জন। এখানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়ে গঠিত । এই আসনে এবার প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেষদিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখানে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট আলী হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি জেলার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ও বন্দর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন সেলিম ওসমান। এখানে লড়াই হবে মূলত জাতীয় পার্টি এবং তৃণমূল বিএনপির মধ্যে।
নরসিংদী-১ ও ৪ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা আছে।
নরসিংদী-১ আসনে চতুর্থ বারের মত এবার এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন তিনবার জয়ী বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরো। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল। কামরুলরে বড় ভাই প্রয়াত লোকমান হোসেনও ছিলেন নরসিংদীর পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র। কামরুল বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নরসিংদী-৪ আসনে (বেলাব- মনোহরদী) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোহরদী উপজেলা পরিষদের পাঁচবারের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান।
ফরিদপুর-১, ২, ৩, ৪ আসনে দেখা যাবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা
ফরিদপুর-১ আসনটিতে আওয়ামী লীগই সবচেয়ে শক্তিশালী। ২বারের এমপি আব্দুর রহমান ২০১৪ সালের পর আবারও নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। এবার বিএনএম-এর প্রার্থী হয়েছেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। আওয়ামী লীগের আরিফুর রহমান দোলনও স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে আসল আর তীব্র লড়াই হবে আব্দুর রহমান আর শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের মাঝে।
ফরিদপুর-২ আসনটি প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর। তাঁর সন্তান রানিং এমপি শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু এবারও নৌকার মাঝি। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি হচ্ছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ. কে. আজাদ। শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ. কে. আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
ফরিদপুর-৪ আসনে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) দুইবার স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। দু’বারই তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে হারিয়েছেন। এবারও তার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে জাফর উল্যাহকে।
মাদারীপুর-৩ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে
মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়ার (গোলাপ) শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগমকে। যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মানিকগঞ্জ-১ ও ২ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা
মানিকগঞ্জ-১ আসনে প্রথমে জেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে মনোয়ন দেয়া হলেও পরে সেটা জাতীয় পার্টির জহিরুল আলম রুবেলকে ছেড়ে দেয়া হয়। বর্তমানে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ। দুর্গম চর এলাকায় সালাউদ্দিন মাহমুদের জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায় এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সঙ্গে তার লড়াই হবে।
মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন করতে যাচ্ছেন সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। যেখানে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দুই ভাই দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল ও দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সঙ্গে।
টাঙ্গাইল-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ এই ৮টি আসনে চলবে শক্ত লড়াই
টাঙ্গাইল-১ আসেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার প্রতিপক্ষ বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ আসনটি ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের, আগেও ছিলো। এমপি তানভীর হাসান (ছোট মনির) এবারো নৌকার প্রার্থী। তাকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলবেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু।
টাঙ্গাইল-৩ আসনটিতে নৌকার নতুন মাঝি ডা. কামরুল হাসান খান। আওয়ামী লীগেরই নেতা আমানুর রহমান খান রানা স্বতন্ত্র প্রার্থী। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুজনের মধ্যে।
টাঙ্গাইল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ মোজাহেরুল ইসলাম তালুকদার। এই আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
টাঙ্গাইল-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব।
টাঙ্গাইল-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু। তার প্রতিপক্ষ তৃণমূলের হয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ।
টাঙ্গাইল-৭ আসনটি ২০০১ সাল থেকে নিজের করে রাখায় এখানে শক্ত অবস্থানে আছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান এমপি খান আহমেদ শুভ নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর অবস্থানও শক্তিশালী। তাদের মধ্যে তুমুল ভোটের লড়াই দেখা যাবে।
টাঙ্গাইল-৮ আসনটি কাদের সিদ্দিকীর। এই আসনে নৌকার টিকেটধারী অনুপম শাহজাহান জয়কে ভালোই লড়তে হবে। এই আসনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে শক্ত লড়াই হতে পারে।
কিশোরগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর আখতারুজ্জামান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেনের ত্রিমুখী লড়াই হবে।
শরীয়তপুর-২ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।
শরীয়তপুর-২ আসনে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের প্রতিদ্বন্দ্বী দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শওকত আলী। তিনি সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর ছেলে।
চট্টগ্রাম বিভাগ: তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ১৯ আসনে
চট্টগ্রাম-১, ২, ৫, ৮, ১০, ১২, ১৫ এই ৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচান হবে।
চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব উর রহমান। এই আসনে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। আরও পাঁচ জন প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াই হবে মাহবুব ও গিয়াসের মধ্যে।
চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে লড়াই হবে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জোট শরিক ত্বরিকত ফেডারেশেনের সৈযদ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। বিএসপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ। এর বাইরে আরও পাঁচ জন প্রার্থী থাকলেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে খাদিজাতুল আনোয়ার, নজিবুল বশর ও সাইফুদ্দিনের মধ্যে।
চট্টগ্রাম-৫ আসনটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। জাতীয় পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এই আসনে আনিসুলের বড় বাধা হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাহান চৌধুরী। এই দুই জনের মধ্যেই মূল লড়াই হবে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন সোলায়মান আলম শেঠ। তার বিপরীতে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত আবদুচ ছালাম। এই আসনে আরেকজন শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বিজয় কুমার চৌধুরী। সাবেক এই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পক্ষে মাঠে নেমেছেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির। মূল লড়াইয়ে আছেন আবদুচ ছালাম, বিজয় কুমার সোলায়মান শেঠ।
চট্টগ্রাম-১০ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮,১১,১২,১৩,১৪,২৪,২৫ ও ২৬ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসনে শক্তিশালী প্রার্থী হচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। এর বাইরে প্রার্থী আছেন আরও সাত জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মনজুর ও বাচ্চুর মধ্যে। এরমধ্যেও মনজুর অনেক এগিয়ে আছেন ভোটের মাঠে।
চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত সামশুল হক চৌধুরী। এছাড়া আরও পাঁচ জন প্রার্থী আছেন এই আসনে। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মোতাহেরুল ও সামশুল হকের মধ্যে।
চট্টগ্রাম-১৫ লোহাগড়া উপজেলা এবং সাতকানিয়া উপজেলার কেউচিয়া, কালিয়াইশ, বাজালিয়া, ধর্মপুর, পূরানগড় ও খাগরিয়া ব্যতীত এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন আবু রেজা মো. নেজামউদ্দিন নদভী। এ আসনে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আবদুল মোতালেব। আরও তিন জন প্রার্থী থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন নদভী ও মোতালেব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১, ২ ও ৩ এই ৩টি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ আসনে নৌকার প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। তার সাথে তীব্র লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান।
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-২ (আশুগঞ্জ ও সরাইল) উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নেই। আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লাঙ্গল প্রতীক জোটের প্রার্থী হিসেবে আছেন রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। আওয়ামী লগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মঈন উদ্দিন মঈন। এছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলামের।
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম.উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী আবারও নৌকার প্রার্থী। এই আসনে লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মুক্তাদির ও ফিরোজের মধ্যে।
কুমিল্লা-৫, ৬ ও ১১ এই ৩টি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসেম খান। তার সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।
কুমিল্লা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার। এই আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আঞ্জুম সুলতানা সীমা। এই দুইজনের মধ্যে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক রেল পথ মন্ত্রী মুজিবুল হক। এই আসনে আরও ৬ জন প্রার্থী আছেন। তবে আলোচনায় আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক এই মেয়র ছিলেন মুজিবুল হকের ডান হাত। তবে এই আসনে প্রথমে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
চাঁদপুর-৪ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
চাঁদপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুর রহমান। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জালাল আহমেদ সিআইপি। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনএমের শাহজাহান, যিনি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য। এই আসনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
নোয়াখালী-২ ও ৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। এই আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। মানিক প্রার্থী হিসেবে নতুন হলেও মোরশেদের সাথে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
নোয়াখালী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। এই আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন। এই দুইজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মহাজোট মনোনীত নৌকার প্রার্থী জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক সদস্য মোশারফ হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইস্কান্দার মির্জা শামীম এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ। এর মধ্যে মোশারফ হোসেনের সঙ্গে আবদুল্লাহ আল মামুনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
কক্সবাজার-১ আসনে শক্ত লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা।
কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নেই। কল্যাণ পার্টির মে: জে: (অব) সৈয়দ ইব্রাহিম বীরপ্রতিকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের। জাফর আলম আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত এবং এই আসনের সাবেক এমপি।
বান্দরবান আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা।
বান্দরবার আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর ঊ শৈ শিং। তার প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির এ টি এম শহীদুল ইসলাম। এই আসনে বীর বাহাদুর ঊ শৈ শিং এর সাথে শহীদুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
রংপুর বিভাগ: তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ১৫ আসনে
রংপুর-১, ২, ৪, ৫, এই চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
রংপুর-১ আসনে জাপার প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ পূর্বে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তিনি মূলত মসিউর রহমান রাঙ্গার রিপ্লেসমেন্ট। রাঙ্গা এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবলু। তিনি জাপার শাহরিয়ারের জন্য চ্যালেঞ্জ।
রংপুর-২ জাতীয় পার্টির অতীতের শক্ত ঘাঁটি। স্বাধীনতার পরের সময়ে এবং ২০১৪ সাল থেকে এখানে আওয়ামী লীগও শক্তিশালী। নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এবং লাঙলের প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মণ্ডলের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে।
রংপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মন্ত্রী টিপু মুন্সির সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গলের। ভোটার উপস্থিতিও বেশি হবে।
রংপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাশেক রহমানের সারথে জাতীয় পার্টির আনিসুর রহমানের তীব্র লড়াই হবে। এই আসনে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লালমনিরহাট-২ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা।
লালমনিরহাট-২ আসনে (আদিতমারী ও কালিগঞ্জ) সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক। এই আসনে শক্ত লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গাইবান্ধা-১, ৩, ৪, ও ৫ এই চারটি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
গাইবান্ধা-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী মহাজোটের সমর্থন পাবেন। কিন্তু তার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। সুন্দরগঞ্জের এই আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মূল ভোটযুদ্ধ হবে।
গাইবান্ধা-৩ আসনে ২০১৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগের আধিপত্য। রানিং এমপি অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এবারও নৌকার শক্তিশালী কান্ডারি। আসনটিতে আওয়ামীপন্থী সতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার এবং সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়া খান বিপ্লবও আছেন।
গাইবান্ধা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়মী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের অধিকারে। এখানে নৌকার মাঝি বর্তমান এমপি মাহমুদ হাসান রিপন। এছাড়াও গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী বুবলীও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আতাউর রহমান সরকারও দলের পুরনো আসন ফিরে পেতে তৎপর হবেন। ফলে এই আসনে জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা আছে।
ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা।
ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে টানা সাতবারের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের সন্তান মাজহারুল ইসলাম সুজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। জেলা ছাত্রলীগ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেয়া এই আওয়ামী প্রার্থীর চাচাতো ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলী আসলাম জুয়েল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল কাদেরও আছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন নাহার বেগম এই আসনে লাঙল মার্কার প্রার্থী হয়েছেন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে এক সময় জাতীয় পার্টির দুর্গ হলেও এখন আওয়ামী লীগও শক্তিশালী। আওয়ামী লীগের নেতা মাছুম ইকবাল এবং শহিদুল ইসলাম শালু স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফলে নৌকার প্রার্থী বিপ্লব হাসানের ভোট ভাগ হয়ে যাবে। এতে সুবিধা পাবেন জাতীয় পার্টির একেএম সাইফুর রহমান। এই প্রার্থীদের ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে, জমজমাট ভোট হবে।
নীলফামারী-১ ও ৩ এই দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
নীলফামারী-১ আসনটি বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টির মধ্যে হাতবদল হয়েছে। গত ২ বারের এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী। স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থী হয়েছেন ইমরান কবির চৌধুরী জনি। সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নুর কুতুব আলম চৌধুরী তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী। লে: কর্ণেল (অবঃ) তসলিম জাতীয় পার্টির প্রার্থী। বিএনএম-এর পক্ষ থেকে নির্বাচন করবেন জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। বিএনএফ মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি আর বিএনএম-এর প্রার্থী শক্তিশালী।
নীলফামারী-৩ আসনটিতে জামায়াত ই ইসলামির শক্ত তৎপরতা আছে। এখানে রানিং এমপি জাতীয় পার্টির মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলকে মহাজোট প্রার্থী করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির কাজী ফারুক কাদেরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মার্জিয়া সুলতানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবেন।
জয়পুরহাট-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
জয়পুরহাট-২ আসনটি অনেকদিন বিএনপির ছিলো। ২০১৪ সাল থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের। বর্তমান এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এখানে শক্তিশালী প্রার্থী। আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মাহফুজ চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এখানে তাই আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
দিনাজপুর-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
দিনাজপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ। ইকবালুর রহিম প্রবল প্রভাবশালী হলেও বিশ্বজিৎ ঘোষ ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন। কেন্দ্রে উপস্থিত বেশি হতে পারে।
রাজশাহী বিভাগ: তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ১৯ আসনে
রাজশাহী-১,৩, ৪ ও ৬ আসনে সরকারদলীয় প্রার্থীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন শারমীন আক্তার নিপা (মাহিয়া মাহি) এবং গোলাম রব্বানী। ওমর ফারুক ও আওয়ামীপন্থী স্বতন্ত্র মাহির মধ্যে তুমুল লড়াই হবে।
রাজশাহী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ। নৌকার প্রতিপক্ষ শক্ত প্রার্থী বিএনএম থেকে লড়ছেন এ কে এম মতিউর রহমান মন্টু। দু’জনের মধ্যে তীব্র লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে সরকারদলীয় প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এনামুল হক। তিনি বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তিনবার জয়ী সংসদ সদস্য।
রাজশাহী-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক ঠান্ডু। রায়হানুল আলম ঠান্ডু নৌকার প্রার্থী শাহরিয়ার আলমের তীব্র লড়াই হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ও ৩ এই দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাঃ শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং গোলাম রব্বানী। উভয় প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভোট জমে উঠবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল ওদুদ। তার প্রতিপক্ষ বিএনএমের হয়ে নির্বাচন অংশ নেওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র আবদুল মতিন।
নাটোর-১, ৩, ৪ এই তিনটি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
নাটোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্যের সঙ্গে একই দলের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের লড়াই হবে।
নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিংড়া উপজেলা পরিষদের সম্প্রতি পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।
নাটোর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের তীব্র লড়াই হবে। শোভনের পিতা ছয়বারের নৌকার সংসদ আব্দুল কুদ্দুসের (সাড়ে ৩ মাস আগে মারা গেছেন) ছেলে।
নওগাঁ-১, ৩ এবং ৪ এই তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হবে।
নওগাঁ ১ আসনে নৌকার প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সাথে তীব্র লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও চন্দননগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান তোতার।
নওগাঁ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক আমলা সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদারের তীব্র লড়াই হবে।
নওগাঁ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোরশেদ বাবু। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেব লড়ছেন এস এম ব্রহানী সুলতান মাহমুদ এবং ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। এই আসনে নাহিদ মোরশেদ বাবু -সুলতান মাহমুদ ও ইমাজ প্রামাণিকের মধ্যে প্রতিযোগীতা হবে।
বগুড়া-১, ২, ৪ ও ৭ এই চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সহধর্মিনী সাহাদারা মান্নান শিল্পী। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপদেষ্টা মোঃ শোকরানা। বগুড়া বিএনপির ঘাাঁটি হওয়ায় শিল্পী ও শোকরানার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
বগুড়া-২ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী জাতীয় পার্টির শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জিন্নাহ ও স্বতন্ত্র বিউটির প্রতিদ্বন্দ্বতা হবে।
বগুড়া-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে লড়ছেন রেজাউল করিম তানসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে ডাঃ জিয়াউল হক মোল্লা। আর বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আশরাফুল আলম (হিরো আলম)। এই আসনে এই প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভোটার উপস্থিতিও বেশি হবে।
বগুড়া-৭ আসন বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি। এটি খালেদা জিয়ার আসন হিসেবে পরিচিত। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ মোস্তফা আলম নান্নু। জাতীয় প্রার্টি থেকে নির্বাচন করছেন এ টি এম আমিনুল ইসলাম পিন্টু। তবে নান্নুর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে পিন্টুর।
সিরাজগঞ্জ- ৫ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
সিরাজগঞ্জ- ৫ আসনে সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ মন্ডলের সন্তান বর্তমান এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল এবারও নৌকার প্রার্থী। কিন্তু সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির সাবেক এমপি আনসার আলী সিদ্দিকীর ছেলে মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনও স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই আসনে আব্দুল মমিন মন্ডলের সাথে আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের তুমুল লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাবনা-১ ও ২ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
পাবনা-১ আসনটি জামায়াত-বিএনপির দখল থেকে ২০০৮ সাল থেকে টানা আওয়ামী লীগের অধিকারে আনা শামসুল হক টুকু হেভিওয়েট প্রার্থী। আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডক্টর আবু সাইয়িদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের অবস্থান শক্ত। ২০০৮ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় আছে দলটি। বর্তমান এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির আবারও আওয়ামী লীগকে জেতানোর দায়িত্ব পেয়েছেন। তার পূর্বসুরি খন্দকার আজিজুল হক আরজুও প্রার্থী হয়েছেন। দুই প্রার্থীর মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বরিশাল বিভাগ: তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ১৩ আসনে
বরিশাল- ২,৪,৫,৬ আসনেই সরকার দলীয় প্রার্থীর থেকে শক্তিশালী স্বতন্ত্ররা।
বরিশাল-২ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখানে নৌকার প্রার্থী হয়ে লড়ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন মনিরুল ইসলাম মনি ও এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির শাহজাহান সিরাজ শক্ত প্রার্থী। আছেন কৃষক শ্রমিক লীগের নুকুল কুমার বিশ্বাস। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। ভোটারের উপস্থিতিও বেশি হবে।
বরিশাল ৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। (প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার রায় ২ জানুয়ারি)। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও সেচ্ছাসেবকলীগের বহিস্কৃত সভাপতি পঙ্কজ দেবনাথ। এছাড়া জাতীয় পার্টির নেতা মিজানুর রহমানও লড়ছেন এই আসনে। শাম্মী প্রার্থিতা ফিরে না পেলে পঙ্কজ ও মিজানুরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বরিশালের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এ আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিনও (রিপন) শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বরিশাল-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক। জাতীয় পার্টির শক্ত প্রার্থী নাসরিন জাহান রত্মা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছে শামসুল আলম চুন্নু। আবদুল হাফিজ মল্লিক এবং নাসরিন জাহান রত্মা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
পিরোজপুর-১ ও ৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আবদুল আউয়াল।
পিরোজপুর-৩ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপদেষ্টা মাশরেকুল আজম রবি। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একই দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও চারবারের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। এই দুইজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ঝালকাঠি-১ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝালকাঠি-১ আসনে আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক নেতা আবুল কাশেম ফখরুল ।
বরগুনা-১ ও ২ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন একই দলের আরও তিন নেতা গোলাম সরোয়ার টুকু, খলিলুর রহমান ও গোলাম সরোয়ার ফোরকান। এর মধ্যে ফোরকান এলাকাবাসীর কাছে অত্যন্ত সাদামাটা ও ক্লিন ইমেজের মানুষ। তিনি আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। এই আসনে শম্ভুর সাথে ফোরকানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
বরগুনা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাদিরা জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমানের সাথে তার কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বতা হতে পারে। এই আসনে বিএনএমের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান।
পটুয়াখালী-৩, ৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
পটুয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম শাহজাদা। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী লে. জে. আবুল হোসেন, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম, এনপিপির ছাইফুর রহমান, বিএনএফের এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম। এস এম শাহজাদা ও ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেনের মধ্যে প্রতিযোগীতা হবে।
পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিববুর রহমান। সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী। নৌকার মহিববুর আর স্বতন্ত্র মাহবুবুর রহমানের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ভোলা-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ভোলা-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ওপর আস্থা রেখেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন একই দলের সাবেক সংসদ সদস্য (অব.) জসিম উদ্দিনের। শাওন শক্তিশালী প্রার্থী। দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।
চাঁদপুর- ৪ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
চাঁদপুর- ৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান। তার প্রতিপক্ষ বিএনএম প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শাহজাহান। স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল আহমেদ সিআইপি ড. শামসুল হক ভূঁইয়া এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আবদুল কাদির তালুকদার। ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভোটার উপস্থিতিও অনেক বেশি হবে।
সিলেট বিভাগ: তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৯ আসনে
সিলেট- ২, ৩, ৫ ও ৬ এই চারটি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
সিলেট-২ আসন বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান। এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের মোকাব্বির হোসেন। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী। এর বাইরে আরও তিন জন প্রার্থী আছেন। তবে এই আসনে মূল লড়াই হবে নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের মধ্যে। এই আসনে মোকাব্বির হোসেনও কিছু ভোট টানবেন।
সিলেট-৩ নির্বাচনী এলাকাটি সুরমা-কুশিয়ারা বিধৌত দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে আবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। নৌকার আরেক বড় দাবিদার ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী (দুলাল) দলীয় মনোয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন আতিকুর রহমান আতিক। ত্রিমুখি লড়াই হবে এই আসনে।
সিলেট-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমেদ। তার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আহমদ আল কবির এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলতলী পীরের ছেলে আঞ্জুমান ইসলামের মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে।
সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সরোয়ার হোসেন। ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা।
হবিগঞ্জ-২ ও ৪ এই দুটি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
হবিগঞ্জ-২ আসন (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে এবার নতুন মুখ প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুহেল নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এই রাজনীতিকের প্রতিদ্বন্দ্বি হচ্ছে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান। এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া মজিদ খান ভোটের মাঠে তুমুল লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছেন।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে নৌকা প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী (বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী) অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
মৌলভীবাজার-২ শক্ত প্রতিদ্বদ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তার প্রতিপক্ষ তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন।
সুনামগঞ্জ-২ ও ৪ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
সুনামগঞ্জ-২ আসনটি হাওর বেষ্টিত দিরাই-শাল্লা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই নির্বাচনী এলাকায় এবার প্রথম প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের পরিবারের বাইরে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তা দলীয় মনোয়ন পাননি। তার জায়গায় নৌকা পেয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শকের ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। মূল লড়াই হবে জয়া সেনগুপ্তা ও আবদ্দুল্লাহ আল মাহমুদের মধ্যে।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মুহাম্মদ সাদিক। তার সাথে ত্রিমুখী লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন এবং জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ।
ময়মনসিংহ বিভাগ: তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৯ আসনে
ময়মনসিংহ-২,৩ ও ৪ এই ৩টি আসনে সরকার দলীয় প্রার্থীর থেকে শক্তিশালী স্বতন্ত্ররা।
ময়মনসিংহ- ২ আসনে আওয়ামীলীগের নেতা শরীফ আহমেদ এর সঙ্গে রয়েছেন শাহ শহীদ সরোয়ার (স্বতন্ত্র)। এখানে লড়াই তুমুল হবে কারণ বিএনপির নেতা সরোয়ার। শহীদ সরোয়ার বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য। ২০০১ সালের নির্বাচনে সাবেক এমপি মরহুম রজব আলী ফকিরের পুত্র শাহ শহীদ সারোয়ার জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগ দিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন। গত সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
ময়মনসিংহ- ৩ আসনে আওয়ামীলীগের নিলুফার আনজুম পপি। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামীপন্থী সোমনাথ সাহা। এই এলাকা বরাবরই আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত। এখানে গত দুদিন আগে সরাসরি অর্থ বিতরণের ভিডিও প্রকাশ পায় সোমনাথ সাহার বিরুদ্ধে। এরপর লড়াইয়ের সম্ভাবনা একটু কম মনে হলেও প্রার্থীদ্বয়ের মধ্যে তুমুল লড়াই হতে পারে।
ময়মনসিংহ- ৪ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্ত। ময়মনসিংহের আওয়ামী লীগ রাজনীতির বটবৃক্ষ ও সিংহপুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় সাবেক ধর্মমন্ত্রী প্রয়াত অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে। বর্ষীয়ান এ নেতা চলতি বছরের আগস্টে মৃত্যুবরণ করেন। তার বিপরীতে আমিনুল হক শামীমের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসে দুলুরও কিছু ভোটব্যাংক থাকায় তৃপক্ষীয় লড়াইয়ে ব্যাপার আছে।
জামালপুর-২ ও ৪ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
জামালপুর-২ আসনে (ইসলামপুর উপজেলা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জিয়াউল হক ও সাজাহান আলী মণ্ডল। এখানে জাতীয় পার্টির মোস্তফা আল মাহমুদ রয়েছেন। তৃমুখী একটা লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জামালপুর-৪ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলাল (আওয়ামী লীগ) আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ মুরাদ হাসানের তুমূল লড়াই হবে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মাঠে শক্ত অবস্থান নিয়ে স্বক্রিয় থাকবেন মোঃ আবুল কালাম আজাদ (জাতীয় পার্টি) তারিখ মাহদী (বিএনএফ), মোঃ সাইফুল ইসলাম টুকন (তৃণমূল বিএনপি)। এখানে ভোটবাক্সে লড়াই যেমন হবে ঠিক তেমনই সংঘর্ষের শঙ্কাও আছে।
নেত্রকোনা-১, ২, ৩ ও ৫ এই চারটি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
নেত্রকোনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহির সাথে জান্নাতুল ফেরদৌস আর ঝুমা তালুকদারের লড়াই হবে।
নেত্রকোনা-২ আসনে নৌকার আশরাফুল আলী খান খসরু সাথে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ খান জয়ের। ভোটার উপস্থিতির সম্ভাবনাও বেশি।
নেত্রকোনা-৩ আওয়ামী লীগের অসীম কুমার উকিলের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর।
নেত্রকোনা- ৫ আসনে আওয়ামীলীগের আহমদ হোসেন এর সঙ্গে শক্ত প্রার্থী হিসেবে আছেন স্বতন্ত্র প্রর্থী ড. আনোয়ার হোসেন। কর্ণেল তাহেরের ভাই হিসেবে তার একটা ভোটব্যাংক আছে। এছাড়া আছেন জাতীয়পার্টির ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ ও তৃণমূল বিএনপির আবদুল ওয়াহাব।
খুলনা বিভাগ: তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৮ আসনে
মেহেরপুর-১ ও ২ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
মেহেরপুর-১ আসনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীনকে।
মেহেরপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ডা. আবু সালেহ মো. নাজমুল হক সাগর। তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। সাগর এবং মকবুলের মধ্যে হবে তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গণি।
যশোর-৩ ও ৪ এই দুটি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা আছে।
যশোর-৩ আসনে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ এবার নৌকার কান্ডারি করেছে সর্বশেষ টানা ২বারের এমপি কাজী নাবিল আহমেদকে। স্বতন্ত্র প্রার্থী যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ কাজী নাবিল আহমেদকে কিছুটা চাপে ফেলতে পারেন।
যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নওয়াপাড়ার সাবেক পৌর মেয়র এনামুল হকের বাবুল। বর্তমান সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। বাবুলের সাথে রনজিতের ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে উঠতে পারে।
ঝিনাইদহ-১ ও ২ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ঝিনাইদহ-১ আসনে এবার নৌকার প্রার্থী টানা চতুর্থবারের এমপি, সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, শক্তিশালী আব্দুল হাই। স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলালও শক্তি রাখেন। তাই আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বেশ।
ঝিনাইদহ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ‘চার খলিফার একজন’ নূরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ও জাহেদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। তাহজীব সিদ্দিকী ও মহুলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
চুয়াডাঙ্গা-১ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়া সম্ভাবনা আছে।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার সেলুন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগারওয়াল। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি তাইজাল হক।
সাতক্ষীরা-১ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়া সম্ভাবনা আছে।
সাতক্ষীরা-১ আসনটি ২০১৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগের হাতছাড়া। কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন নৌকার এবারের মাঝি। ১৯৮৮ সালের জাতীয় পার্টির এমপি ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখত আবার লাঙলের প্রার্থী হয়েছেন। ফিরোজ আহমেদ স্বপনের মূল প্রতিপক্ষ তিনিই।
যেসব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছেন ১৫ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিসভায় ২৩ মন্ত্রী, ১৮ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ উপমন্ত্রী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন বাদে সবাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এবার মনোনয়ন পাননি- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।
চাঁদপুর-৩ আসনের (সদর ও হাইমচর) শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভুইয়া। তাঁর পক্ষে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের একাংশ। আরেকাংশ দীপু মনির পক্ষে।
পিরোজপুর-১ আসনে (সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরখানি) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আবদুল আউয়াল। এই দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতে ইতিমধ্যে একজন মারা গেছেন।
নরসিংদী-৪ আসনে (বেলাব- মনোহরদী) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোহরদী উপজেলা পরিষদের পাঁচবারের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান। প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি সম্প্রতি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন।
লালমনিরহাট-২ আসনে (আদিতমারী ও কালিগঞ্জ) সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক। মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীও আছেন।
নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চন্দননগর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান।
নেত্রকোনা-২ আসনে (নেত্রকোনা সদর ও বারহাট্টা উপজেলা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী ফুটবলার আরিফ খান জয়।
রাজশাহী-৬ আসনে (চারঘাট ও বাঘা উপজেলা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য রাহেনুল হক।
নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিংড়া উপজেলা পরিষদের সম্প্রতি পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে (চুনারুঘাট ও মাদবপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক।
ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ)।
গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম।
জামালপুর-২ আসনে (ইসলামপুর উপজেলা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জিয়াউল হক ও সাজাহান আলী মণ্ডল।
মেহেরপুর-১ আসনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীনকে।
শরীয়তপুর-২ আসনে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের প্রতিদ্বন্দ্বী দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শওকত আলী। তিনি সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর ছেলে।
বিএনপির ৩৩ হেভিওয়েট নেতা নির্বাচনে
বিএনপির সাবেক পাঁচজন সংসদ সদস্য। এ ছাড়া দলের চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্যও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
বিএনপি নেতারা নির্বাচনে
· বিএনপি ছেড়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন একজন।
· বিএনপি নির্দেশ অমান্য করে ১৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
· বিএনপি ছেড়ে তৃণমূল বিএনপির হয়ে প্রার্থী হয়েছেন ১৩ জন।
· বিএনপি ছেড়ে বিএনএমে গিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন ৬ জন।
বিএনপির ১৩ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী
কুমিল্লা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান।
ঝালকাঠি-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক নেতা আবুল কাশেম ফখরুল ।
টাঙ্গাইল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেনন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা।
বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) লড়ছেন জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ শোকরানা।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা বিএনপির সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক বিউটি বেগম।
বগুড়া-৭ (শাজাহানপুর-গাবতলী) আসনে প্রার্থী হয়েছেন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সরকার বাদল।
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ শহীদ সারোয়ারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ২
ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান।
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহাবুবুল হাসান।
বিএনপি থেকে তৃণমূল বিএনপি হয়ে ১৩ জন নির্বাচনে
সিলেট-৬ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে লড়ছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার।
মৌলভীবাজার-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন।
ঝিনাইদহ-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নুরুদ্দিন আহমেদ।
মেহেরপুর-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গণি।
চট্টগ্রাম-৫ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন।
চুয়াডাঙ্গা-১ তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি তাইজাল হক।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মোজাফফর আহমেদ।
চাঁদপুর-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আবদুল কাদির তালুকদার।
গাজীপুর-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী লড়ছেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির নেতা জব্বার সরকার।
পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল আজিজ।
শেরপুর-২ আসন থেকে তৃণমূল থেকে প্রার্থী হয়েছেন শেরপুর জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. জায়েদুর রশীদ।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ।
বিএনপির থেকে বিএনএমে গিয়ে ৬ জন নির্বাচনে
ফরিদপুর-১ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
বরগুনা-২ আসনের নির্বাচনে লড়ছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামসুল আবেদিন।
রাজশাহী–৩ আসনে বিএনএমের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে বিএনএমের হয়ে নির্বাচন করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র আবদুল মতিন।
শেরপুর-১ আসনে বিএনএম থেকে প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
বিএনপি থেকে ১ জন নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে
ঝালকাঠি–১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর।
বর্তমান ১৭ এমপি হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী
বর্তমান সংসদে থাকা আওয়ামী লীগের ৭৭ জন সদস্য এবার দলীয় মনোনয়ন হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৬০ জন ভোটের লড়াইয়ে নেই। দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ১৭ জন বর্তমান সংসদ সদস্য।
ডা. মুরাদ হাসান (জামালপুর-৪), ছলিম উদ্দীন তরফদার (নওগাঁ-৩), মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক (নওগাঁ-৪), পঙ্কজ নাথ (বরিশাল-৪), মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (গাইবান্ধা-৪), এনামুল হক (রাজশাহী-৪), রণজিত কুমার রায় (যশোর-৪), মীর মোস্তাক আহমেদ (সাতক্ষীরা-২), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), আনোয়ারুল আবেদীন খান (ময়মনসিংহ-৯), ইকবাল হোসেন (গাজীপুর-৩), মোয়াজ্জেম হোসেন (সুনামগঞ্জ-১), আবদুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), জাফর আলম (কক্সবাজার-১)।
এর বাইরে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের দুজন সংসদ সদস্যও স্বতন্ত্র ভোট করছেন। এর মধ্যে মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাহমিনা বেগম। কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র ভোট করছেন আনজুম সুলতানা।