আগস্ট ১৪, ২০২৩, ০২:৪৮ এএম
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে ঢাকার বিদেশী কুটনীতিক মহল। প্রায়শঃ তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করছে, মত বিনিময় করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি এবং সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতাদের সাথে এক চা–চক্রে যোগ দিল বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যান। চা-চক্রটি হয়েছে রবিবার বিকেলে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের গুলশানের বাসায় ওই চা–চক্রের আয়োজন করা হয়। চা–চক্রটি চলে বিকেল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।
মার্কিন কংগ্রেমম্যানরা বলেছেন, সারা বিশ্ব যেন বলতে পারে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হয়েছে, এমনটিই চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, নাহিম রাজ্জাক ও তামান্না নুসরাত। তারা তিনজনই সংসদ সদস্য। বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন শেরিফা কাদের, রানা মোহাম্মদ সোহেল ও নাজমা আকতার। তারা তিনজনই সংসদ সদস্য।
চা–চক্রে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নিজে উপস্থিত ছিলেন। সাথে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার কংগ্রেসম্যান (রিপাবলিকান) রিক ম্যাক্রোরমিক ও হাওয়াইয়ের কংগ্রেসম্যান (ডেমোক্র্যাট) এড কেইস।
সূত্র জানাচ্ছে, বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী দলের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলেও ওই বৈঠকে জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো বিধান রাখা সম্ভব নয়। কোনো অনুরোধও রাখা সম্ভব নয়।
বৈঠকে কংগ্রেসম্যান এড কেইস আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে বলেন, শুধু আপনাদের দেশে নয়, সারা পৃথিবীর কাছে অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে। জবাবে আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে তাঁদের আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। একই সাথে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
মার্কিন দুই কংগ্রেসম্যান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক, এরমধ্যে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ইন্দো-প্যাসিফিকে অঞ্চলে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে বাংলাদেশের জনসংখ্যাও একটি ফ্যাক্টর। সারা পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা কমে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যেন গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকে, সেটা চায় আমেরিকা।