প্রবাসী থেকে শুরু করে জেলখানার কয়েদীরাও এবার দিতে পারবে ভোট। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে এই সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে ইসি। তবে তফসিল ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি এলাকার রিটার্নিং অফিসারের নিকট আবেদন করতে হবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন এই তথ্য জানায়।
যারা দিতে পারবে পোস্টাল ব্যালটে ভোট
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে এরূপ নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন-
(ক) কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের কোন জেলখানায় বা অন্য কোন আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে, (খ) কোনো ব্যক্তি তিনি যে ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী সেই কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোনো ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে; এবং (গ) বিদেশে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশি ভোটার।
যেভাবে দেয়া যাবে ভোট
এইরূপ ভোট প্রদানের অধিকারী কোনো ব্যক্তি পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানে ইচ্ছুক হইলে- নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করতে পারবেন-
(১) নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার তারিখ হইতে পনেরো দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নিকট আবেদন করতে হবে;
(২) তিনি যে নির্বাচনি এলাকার ভোটার, সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারের নিকট পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করবেন এবং অনুরূপ প্রত্যেক আবেদনে ভোটারের নাম, ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় তাহার ক্রমিক নম্বর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
(৩) রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটারের আবেদন প্রাপ্তির পর, অনতিবিলম্বে উক্ত ভোটারের নিকট ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং একটি খাম প্রেরণ করবেন, যে খামের উপর তারিখ প্রদর্শন করত সার্টিফিকেট অব পোস্টিং এর একটি ফরম থাকবে, যা ভোটার কর্তৃক ডাকে প্রদানের সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা- কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করা হবে।
(৪) কোনো ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের জন্য তার ব্যালট পেপার প্রাপ্তির পর, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তার ভোট রেকর্ড করিবার পর ব্যালট পেপারটি তার নিকট প্রেরিত খামে ন্যূনতম বিলম্বের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট ডাকযোগে প্রেরণ করবেন।
রিটার্নিং অফিসার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ব্যালটের ফলাফল মূল ফলাফলের সাথে যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন। এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস/হাই কমিশনসমূহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবেন।