সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩, ০৪:১৯ এএম
অবশেষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই শীর্ষ নেতা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের চার শীর্ষ নেতার বিরোধের অবসান ঘটল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে একসঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল এক সেলফি পোস্ট করেছেন এই আট নেতা। বিরোধের বিষয়টিকে এখন তাঁরা ‘ভুল-বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্যমতে, কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে। সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ১ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না পেয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রাপ্য সম্মান না দেওয়া ও রাজনৈতিক সৌজন্য না দেখানোর অভিযোগ তোলেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার শীর্ষ নেতারা। এ নিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে তাঁদের বিরোধ চলছিল। যা ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন-এর এক ফেইসবুক পোস্টে তা প্রতিয়মান হয়।
বিরোধের জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা কেন্দ্রের অধীনে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজ শাখার নিয়ন্ত্রণ দাবি করা সহ হল কমিটিতে কেন্দ্রকে ‘ভাগ’ না দেওয়ার বিষয়ে জোরালো বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বিরোধের কারণে মহানগরের শীর্ষ নেতারাও সম্প্রতি কেন্দ্রের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন।
এর মধ্যেই গত ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক সাত কলেজের ‘একাডেমিক সংকট নিরসনে’ কলেজগুলোর একদল শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে টিএসসি মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এরপর থেকেই গত তিন দিন সাত কলেজের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রের কাছ থেকে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্ঠার প্রতিবাদ করতে থাকে। তারা ফেইসবুক পোস্টে ঘোষণা দিতে থাকে তাঁরা কেন্দ্রের সঙ্গে থাকতে চায়। এই পরিস্থিতির সুত্র ধরে গত বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাকা কলেজের দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা হয়।