বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচক ২০২১ সালের তালিকায় গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশের আরও এক ধাপ উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবারও রয়েছে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের’ দেশের তালিকায়।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট-এর ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) প্রকাশিত রিপার্টে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের গণতান্ত্রিক অবস্থা ও পরিস্থিতি বিচার করে ইআইইউ এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত রিপোর্টে ২০২১ সালের সূচকে ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর নিয়ে তালিকায় বাংলাদেশ চলতি বছর তিউনিশিয়ার সাথে যৌথভাবে ৭৫তম স্থানে আছে।
২০২০ সালে এই সূচকে একই স্কোর নিয়ে ৭৬তম স্থানে ছিল। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ৫ দশমিক ৮৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০তম ছিল। একই সূচকে ২০১৮ সালে ৮৮তম স্থানে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৫৭।
বৃহস্পতিবার পাঁচটি বিভাগের স্কোরের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিভাগগুলো হলো- নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বহু দলীয় ব্যবস্থা, সরকারের কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক স্বাধীনতা।
সামগ্রিকভাবে ১০ পয়েন্টের মধ্যে ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর করে বাংলাদেশ এখনও মিশ্র শাসনের দেশ রয়ে গেছে। ইআইইউর তথ্যমতে, এ ধরনের দেশে ব্যাপক অনিয়ম নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা দেয়, দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত এবং আইনের শাসন দুর্বল।
২০০৬ সালে প্রকাশিত প্রথম তালিকায়, ৬ দশমিক ১১ স্কোর করে ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের স্বীকৃতি পেয়েছিল বাংলাদেশ। পরের বছর এ তালিকায় অবনতি হয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হয় মিশ্র শাসনের দেশে’র শ্রেণিতে এবং এটি এখন পর্যন্ত তাই রয়ে গেছে।
ইআইইউ প্রতিবেদন অনুযায়ি, বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচক তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ৪৬তম, শ্রীলঙ্কা ৬৭তম, ভুটান ৮১তম, নেপাল ১০২তম, পাকিস্তান ১০৪তম এবং মিয়ানমার ১৬৬তম অবস্থানে রয়েছে।
৯ দশমিক ৭৫ স্কোর নিয়ে গণতন্ত্র সূচকের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইউরোপের দেশ নরওয়ে। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে সুইডেন, পঞ্চম স্থানে আইসল্যান্ড, ষষ্ঠ ডেনমার্ক, সপ্তম আয়ারল্যান্ড, অষ্টম স্থানে তাইওয়ান, নবম অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ড দশম অবস্থানে রয়েছে।
বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচক তালিকায় সবচেয়ে নিচের দিকে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, লাওস, চীন, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম এবং সবশেষে আফগানিস্তান।