সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণ

ইঞ্জিনরুম থেকে মিললো মরদেহ; এখনো নিখোঁজ ৩ জন

জাতীয় ডেস্ক

জুলাই ২, ২০২৩, ০৪:২৮ পিএম

ইঞ্জিনরুম থেকে মিললো মরদেহ; এখনো নিখোঁজ ৩ জন

সংগৃহীত ছবি

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী ২-এ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ ৪ জনের মাঝে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বাকি ৩ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি।

রবিবার (০২ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে জাহাজের ইঞ্জিনরুম থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে মৃতের পরিচয় জানা যায়নি।

এ তথ্য নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. কর্নেল শাফায়েত জানান, ইঞ্জিনরুম থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনো তার পরিচয় জানা যায়নি। বাকিদের উদ্ধারে তৎপরতা চালু আছে।

জাহাজটিতে দগ্ধ হওয়া চার কর্মচারী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন।

নিখোঁজদের খোঁজে সুগন্ধা নদীর পাড়ে অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা। নিখোঁজদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন- জাহাজের মাস্টার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুহুল আমীন খান, সুপার ভাইজার চাঁদপুর জেলার মাসুদুর রহমান বেলাল এবং চালক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আকরাম হোসেন। নিখোঁজ আরও একজনের নাম এখন জানা যায়নি।

এদিকে জাহাজে মজুত করা প্রায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল থেকে প্রায় ৪ লাখ লিটার তেল ‘ওটি মৃদুলা’ নামের অপর একটি জাহাজে অপসারণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ডুবে যাওয়া তেলবোঝাই জাহাজটি অনেকটা ভেসে উঠেছে। এ কাজে সহায়তা করছে কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দুটি জাহাজ।

গতকাল বেলা দুইটার দিকে সুগন্ধা নদীতীরের সরকারি তেলের ডিপোর কাছে সাগর নন্দিনী-২ নামের জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এক সপ্তাহ আগে তেলবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে এসে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তেলের ডিপো-সংলগ্ন এলাকায় নোঙর করে। জাহাজটিতে প্রায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল (পেট্রল ও ডিজেল) ছিল। এটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোতে খালাস করার অপেক্ষায় ছিল। ঈদুল আজহার ছুটিতে ডিপো বন্ধ থাকায় তেল খালাস করা সম্ভব হয়নি।

২০২১ সালের ১২ নভেম্বর একই স্থানে একই কোম্পানির সাগর নন্দিনী-৩ নামের আরেকটি তেলবাহী জাহাজে আগুনে দগ্ধ হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল।

Link copied!