ওবায়দুল কাদেরের সংবর্ধনার জন্য ২০০ মণ মাংস দিয়ে একরামুল এমপির মেজবান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ১১:৪১ পিএম

ওবায়দুল কাদেরের সংবর্ধনার জন্য ২০০ মণ মাংস দিয়ে একরামুল এমপির মেজবান

গত ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় নোয়াখালীর কবিরহাটে ওবায়দুল কাদেরকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করেছেন একরামুল করিম চৌধুরী এমপি। একরামুল করিমের বাড়ি কবিরহাটে হলেও তিনি নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হওয়ায় একরামুল হক ওই সংবর্ধনার আয়োজন করেন।  মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ সংবর্ধনা ও মেজবানির আয়োজনে ছিল ৫০ হাজার মানুষের জন্য ২০০ মণ মাংস দিয়ে মেজবান।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানিগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের সংসদ সদস্য। একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়ি কবিরহাটে হলেও তিনি নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য।

একরামুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, “ওবায়দুল কাদের ভাইকে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় ২০০ মণ গোশত দিয়ে ৫০ হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতি ব্যাচে পাঁচ হাজার মানুষ বসতে পারবে।”কাদের

গত ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত ওবায়দুল কাদেরের সাথে একরামুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলে আসছিল। ওবায়দুল কাদেরের ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার সঙ্গেও সংসদ সদস্য একরামুল করিমের বিরোধ ছিল। আর এই বিরোধকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবে গত ২৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিলের আগে নোয়াখালী জেলা শাখা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গিয়ে ওবায়দুল কাদের নিজের ভাই এবং একরামুল করিম দুজনকেই “নোয়াখালীর স্বার্থে, রাজনীতির স্বার্থে” ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলেন।

গত ২৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিলে ওবায়দুল কাদের টানা তৃতীয়বারের মতো দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই উপলক্ষে সংসদ সদস্য একরামুল করিম এই বিশাল মেজবানির আয়োজন করেন।

এবিষয়ে একরামুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের মধ্যে কিছু রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এখন আমরা ঐক্যবদ্ধ। দলের স্বার্থে নেতাকর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে কাজের জন্যই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।”   

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বিখ্যাত বাবুর্চি হাবিবুর রহমান তার পাঁচ শতাধিক সহকারী নিয়ে মেজবানির রান্নার কাজ করেন।

বাবুর্চি হাবিবুর রহমান সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, “৫০০ জন বয়-বেয়ারা মিলে সুস্বাদু করে এই মেজবানির আয়োজন করা হচ্ছে। মেজবানিতে সাদা ভাত, মাংস, ডাল ও লাউ দিয়ে ‘নলা' থাকবে।”

রাহি হুদ্দা নামের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, “আয়োজন সফল করতে আমরা ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করব। দুটো গেট রয়েছে। এক গেট দিয়ে মানুষ প্রবেশ করবে; অন্য একটি দিয়ে বের হবে।” 

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ আসনে এক সময়ের আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাজি মো. ইদ্রিসের ছেলে একরামুল করিম স্থানীয় রাজনীতিতে ওবায়দুল কাদেরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে নেমেছিলেন ২০০১ সালের নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একরাম ৪০ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে বিএনপির ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদের কাছে হেরে যান ওবায়দুল কাদের। তখন থেকেই ওবায়দুল কাদেরের সাথে একরামুল হকের বিরোধ চলে আসছিল। তবে সম্প্রতি একরামুলকে ক্ষমা করে দেন ওবায়দুল কাদের। আর তাঁকে খুশি করতেই তার নামে একরামুল হক চৌধুরী মেজবানের আয়োজন করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

Link copied!