খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৪৪ ছাত্রকে শোকজ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিউল ইসলাম জানান, “বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ওই ছাত্রদের শোকজের চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের জবাব শৃঙ্খলা কমিটিতে যাবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিষয়টি তোলা হবে।”
এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যু হয়। এরপরই অভিযোগ ওঠে, কিছু ছাত্রের লাঞ্ছনা ও অপদস্তের শিকার হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সেলিম। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ছাত্র ক্যাম্পাসের রাস্তায় ড. সেলিম হোসেনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। পরে তারা সেলিমকে অনুসরণ করে তড়িৎ প্রকৌশল ভবনে ব্যক্তিগত কক্ষে প্রবেশ করেন। প্রায় ৩০ মিনিট পর তারা সেখান থেকে বের হয়ে যান। পরে অধ্যাপক সেলিম সেখান থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরেন।
ওই শিক্ষকের স্ত্রী জানান, বাসায় ফেরার পর সেলিম টয়লেটে যান। বের হতে দেরি হওয়ায় তিনি দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন তার স্বামী। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদার বলেন, সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। ফুটেজ দেখে শিক্ষকের সঙ্গে ওই ৯ ছাত্রের অসদাচরণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সেলিম হোসেনের মৃত্যুতে অস্বাভাবিকতা পাওয়া গেলে তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।