সারাদেশের গ্রামে-গঞ্জে যে কোন ধরণের অবকাঠামো (বাড়িঘর, ধর্মীয় উপাসনালয়সহ নানা স্থাপণা) নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। গ্রামগুলোকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে সরকার এই উদ্যোগ নিচ্ছে।
বুধবার সেভ দ্য চিলড্রেন ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মেয়র সংলাপ: নিরাপদ, টেকসই ও অর্ন্তভূক্তিমূলক নগর’ শীর্ষক সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কথা জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শনের সুফল হিসেবে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তাই এখন থেকেই গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে।“
মন্ত্রী বলেন, “দেশের গ্রামে-গঞ্জে কোথাও কেউ যদি বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লাব বা অফিস-আদালত সহ যে কোন ধরণের অবকাঠামো নির্মাণ করতে চায়, তাহলে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।’’
তাজুল ইসলাম বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করা সম্ভব হবে না।“
“এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদকে ক্ষমতা দেওয়ার পর তারা যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য উপজেলা পরিষদকে সংযুক্ত করা হবে।“
তিনি আরো বলেন, “কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই পূর্ব অনুমতি ছাড়া কৃষি জমিতে ঘর-বাড়ি বা অন্য কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া যাবে না।’’