জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৪:১৯ পিএম
দেশে প্রথমবার মৃত মানুষের কিডনি অন্যের দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন (ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট) করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে একজন মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে নেওয়া দুটি কিডনি দুজনের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিএসএমএমইউতে জেনেটিক ডিজিজে আক্রান্ত সারা (২০) নামের এক রোগীকে সার্জারির পর আইসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু একপর্যায়ে আমরা বুঝতে পারি তিনি ব্রেন ডেথের দিকে যাচ্ছেন। পরে তার স্কুলশিক্ষক মাকে কাউন্সিলিং করলে তিনি ব্রেন ডেথ সারার দুটি কিডনি ও দুটি কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্টের অনুমতি দেন।
ইতোমধ্যে তার কিডনি দুটি দুইজন রোগীর দেহে ট্রান্সপ্লান্ট করা হলেও কর্ণিয়া দুটি সংরক্ষিত আছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
বিএসএমএমইউতে কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার দলে আরও ছিলেন হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদ মো. সাইফুল হোসাইন, সহযোগী অধ্যাপক ফারুক হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র ঘোষসহ ১৫ চিকিৎসক।
এ প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্রেইন ডেথ একজন রোগী থেকে আট জনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট অন্যান্য ট্রান্সপ্লান্ট থেকে সহজ। একজন ব্রেইন ডেথ রোগীর দুটি কিডনি দুই জনকে, একটি লিভার একজনকে, দুটি ফুসফুস দুই জনকে, হৃদযন্ত্র একজনকে, অন্ত্র একজনকে, অগ্ন্যাশয় একজনকে দান করে মোট আট জন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
উপাচার্য বলেন, ক্যাডাভেরিকের মতো একটি মহৎ কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এ কার্যক্রম সফল করতে রোগীর পরিবারের সদস্যদের যেমন সহায়তা প্রয়োজন, তেমনি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।